করোনাভাইরাস: মন্ত্রণালয়গুলোর ক্ষতির তথ্য চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধীন সরকারি সংস্থাগুলো কী পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তার তথ্য চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
পাশাপাশি সংকট উত্তরণে আগামী বুধবারের মধ্যে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা জানানোর অনুরোধ করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ এর কারণে মন্ত্রণালয় ও সংস্থার যেসব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই তথ্য এবং সংকট উত্তরণে নেওয়া উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা অর্থাৎ কি কি কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত সেসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার এবং তা ত্বরান্বিত করতে কি কি কার্যক্রম নেওয়া উচিত তাও জানাতে বলেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এসব তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন ২৯ এপ্রিলের মধ্যে director4.pmo@gmail.com এ পাঠাতে হবে।
অতি সংক্রামক এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। কয়েক দফা সেই ছুটি বাড়িয়ে আগামী ৫ মে পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সময়ে সব ধরনের কল-কারখানাসহ বাইরের সব কাজকর্ম রাখার কথা বলা হলেও অর্থনীতি সচল রাখার চেষ্টায় ২৬ এপ্রিল থেকে কিছু কিছু কারখানা চালু হয়েছে। হোটেল-রস্তোরাঁ, দোকানপাট খোলা রাখার সময়ও কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
লকডাউনের কারণে এক মাসে আর্থিক ক্ষতির কোনো হিসাব সরকারের কাছে না থাকলেও সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, দিনে এই ক্ষতির পরিমাণ তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকার কম নয়।
তাদের হিসাবে, এই এক মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অবরুদ্ধ পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে।