করোনাভাইরাস: বন্ধ হচ্ছে ইইউ সীমান্ত
নভেল করোনাভাইরাস সংকটের কারণে ৩০ দিনের জন্য বহিরাগত ভ্রমণকারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউয়ের ২৬টি সদস্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি আইসল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডও এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইইউভুক্ত ইতালি ও স্পেনে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকার মুখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, জানিয়েছে বিবিসি।
প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় মঙ্গলবার থেকে কঠোর ‘অবরুদ্ধ’ দশা শুরু করেছে ফ্রান্স।
বিশ্বজুড়ে সাত হাজার ৫০০ লোকের জীবন নেওয়া ভাইরাসটিতে ইউরোপ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইউরো ২০২০ ফুটবল প্রতিযোগিতা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী এক লাখ ৮৫ হাজার জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে ইইউ
ইইউ দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত নয় এমন সব দেশের নাগরিকরা এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। তারা ওই ৩০ দিন ইইউ ব্লকের দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে বাস করা লোকজন, ইইউয়ের নাগরিকদের পরিবারের সদস্য ও কূটনীতিকরা, সীমান্ত ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত লোকজন এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
যুক্তরাজ্য ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে এই পদক্ষেপের অংশ হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর মধ্যে আয়ারল্যান্ড ইইউয়ের অংশ হলেও ইউরোপের মুক্ত-সীমান্তের শেনজেন অঞ্চলভুক্ত নয়।
কেন এই সিদ্ধান্ত
শেনজেন অঞ্চলে অবাধ ভ্রমণের নীতি অনুসরণ করা হলেও সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অনেকগুলো দেশই পুরোপুরি অথবা আংশিক সীমান্ত বন্ধের একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়।
এই পরিস্থিতিতে এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউরোপীয় কমিশন পুরো ব্লকের একযোগে কাজ করার ও পুরো ইউনিয়নে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করে।
মঙ্গলবার বিকালে এক ভিডিও সম্মেলনে ইইউ নেতারা ওই পদক্ষেপের বিষয়ে সম্মত হন। এখন সদস্য রাষ্ট্রগুলো এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লাইয়েন বলেছেন, “পদক্ষেপগুলো আশু বাস্তবায়ন করা হবে বলে কথা দিয়েছে তারা।”