করোনাভাইরাস: প্রায় ১০ মাসের সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত
দেশে গত এক দিনে ২৯২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত প্রায় দশ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
সবশেষ গতবছরের ১৭ এপ্রিল এর চেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ২৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছিল। আর শনিবার ৩০৫ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর জানানো হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১২ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ২৯২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
তাতে দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশে, যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে কম। আর দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬২ জন হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে, তাতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ৮ হাজার ২০৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫৩১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭২ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৫৭ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ লাখ ১০ হাজার।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২০৬টি ল্যাবে ১২ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ১২টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।