করোনাভাইরাস: দেশে এখন ৯ জন ‘আইসোলেশনে’
কভিড-১৯ রোগের মতো উপসর্গ নিয়ে দেশে এখন আইসোলেশনে রয়েছেন নয়জন; এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন চারজন।
আর দেশে যে তিনজন কভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েছিলেন, তাদের দুজনই এখন নভেল করোনাভাইরাস মুক্ত বলেও জানিয়েছে আইইডিসিআর।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের হালনাগাদ তথ্য নিয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করা কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত যে তিনজন বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছিলেন, তার দুজন ইতালি ফেরত এবং অন্যজন তাদের একজনের স্বজন।
তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। একজন সেরে উঠে ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছেন।
শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে তিনজন ব্যক্তির কভিড -১৯ আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছিলো, তাদের মধ্যে দুজন করোনামুক্ত।
“তৃতীয় ব্যক্তির একটি পরীক্ষা করা হয়েছে, তাতে রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। আরও ২৪ ঘণ্টা পরে আরেকটি পরীক্ষা করা হবে। তাতে যদি নেগেটিভ আসে রেজাল্ট, তাহলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।”
দেশে নতুন করে আর কারও দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইডিসিআরে যে ৩৬৮৬টি কল এসেছে, তার মধ্যে ৩৬০৩টি করোনাবাইরাস সংক্রান্ত।
অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, “২১১টি নমুনা এসেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করে কারও মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।”
তিনি বলেন, “২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নয়জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছে চারজন।”
কভিড-১৯ রোগের মতো কোনো লক্ষণ যদি কারও থেকে থাকে, তাকে হাসপাতালে আলাদা রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়, যাকে বলে আইসোলেশন।
আর কভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন কোনো না কোনোভাবে, কোনো লক্ষণ শুরুতে দেখা না গেলে তাদের আলাদা রাখার ব্যবস্থাটি হচ্ছে কোয়ারেন্টিন।
যাদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কোনো লক্ষণ আছে,তাদের জুমার নামাজ ঘরে পড়তে অনুরোধ করেছে আইইডিসিআর।
ইউরোপের যে দেশটিতে করোনাভাইরাস ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়েছে, সেই ইতালি থেকে শনিবার আসা ১৪২ জনকে বাধ্যতামূলকভাবে হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তাদের বিষয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, “তাপমাত্রা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই। তবে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
“পরে কোনো উপসর্গ যদি পাওয়া যায়, তবে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হবে। যাদের হোম কোয়ারেন্টিনে সমস্যা হবে, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আনা হবে।”
এই সময়ে বাংলাদেশিদের বিদেশ থেকে ফিরতে কিংবা বিদেশে না যেতে আবারও অনুরোধ জানান আইইডিসিআর পরিচালক।
সৌদি আরবে যে শ্রমিকরা ফেরত যেতে চান,তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, “তাদের সরাসরি বিমানে যেতে হবে, আমরা তেমন নির্দেশনা পেয়েছি সৌদি দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।”