করোনাভাইরাস: টিকে থাকার লড়াইয়ে কোরিয়ান এয়ার
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কোরিয়ান এয়ারের জন্য টিকে থাকাই কঠিন হতে পারে বলে একটি মেমোতে কর্মচারীদেরকে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
করোনাভাইরাসে দক্ষিণ কোরিয়া বেসামাল হয়ে পড়েছে। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রমণে কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
জাতীয় এয়ারলাইন্স কোরিয়ান এয়ার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ৮০ শতাংশ বেশি কমিয়ে দিয়েছে এবং কর্মীদেরকে স্বেচ্ছায় ছুটি নিতে উৎসাহিত করছে।
মেমোতে কোরিয়ান এয়ার এর প্রেসিডেন্ট উ কি-হং বলেছেন, “এ সংকট কতদিন চলবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।”
তিনি মেমোতে লিখেন, “তবে এ পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে আমরা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারি যখন আমরা আর কোম্পানি টিকিয়ে রাখার নিশ্চয়তা দিতে পারব না।”
কোরিয়ান এয়ারের এক মুখপাত্র বিবিসি কে বলেছেন, “আমরা গত ৫১ বছর ধরে অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি এবং আমরা একসঙ্গে এ সংকটও মোকাবেলা করতে পারব বলে আমার আস্থা আছে।”
কেবল কোরিয়ান এয়ারই নয় বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন এয়ারলাইন্সই ভ্রমণে কড়াকড়ির কারণে যাত্রী সংকটে আছে। ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে অনেক মানুষও ভ্রমণে উৎসাহী হচ্ছে না।
নরওয়ে এয়ার আগামী তিনমাসে প্রায় ৩ হাজার ফ্লাইট কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া, মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার কান্তাস এয়ারও বলেছে, তারা এশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে আরো ফ্লাইট কমাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট প্রায় ২৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি।