করোনাভাইরাস: জমায়েত এড়িয়ে চলতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
বাংলাদেশে প্রথমবারের মত তিনজনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় বড় ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারপ্রধানের এই সিদ্ধান্ত আসে বলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, “বড় গ্যাদারিং এড়িয়ে চলব, অ্যাভয়েড করব যতদূর সম্ভব, সেটাই (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশনা।”
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও বলেন, “ম্যাস গ্যাদারিং অ্যাভয়েড করতে হবে।”
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মত কোনো পরিস্থিতি দেশে এখনও সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব।
আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর রোববার এক ব্রিফিংয়ে দেশে প্রথমবারের মত তিনজনের নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করে।
তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ সম্প্রতি ইতালির দুটি শহর থেকে দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে একজনের সংস্পর্শে এসে পরিবারের আরেক নারী সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই স্থিতিশীল এবং তিনজনকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে।
আইইডিসিআর ওই তথ্য জানানোর পর রাতে সরকারের তরফ থেকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করার ঘোষণা আসে। জানানো হয়, ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের মূল অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে, সেদিন ছোট আকারে সীমিত পরিসরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। মূল অনুষ্ঠান পরে কখনও হবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় এখন অনেক অনুষ্ঠানের সূচিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
আর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হল, যেহেতু এটা ছোঁয়াচে রোগ, তাই তিন স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।… আমরা যেন আতঙ্কিত না হই। প্রোটোকল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
“কোনোভাবে যাতে ছড়াতে না পারে সেদিকে কড়া নজর দেওয়া হয়েছে।”