করোনাভাইরাস এখন চীনের বাইরেই দ্রুত ছড়াচ্ছে
তিন হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ৭০টির বেশি দেশে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ভাইরাস এখন চীনের বাইরেই অনেক বেশি দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে, দেশে দেশে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস গেব্রিয়েসাস জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে যত নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে, চীনের বাইরে পাওয়া গেছে তার আট গুণ বেশি।
বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় গত সপ্তাহেই সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমবার জেনিভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তেদ্রোস গেব্রিয়েসাস বলেন, এই মুহূর্তে দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান ও জাপানের পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। তবে দক্ষিণ কোরিয়া নিবিড় নজরদারি চালু করার পর সেখানে নিয়ন্ত্রণের আশা তৈরি হচ্ছে।
তার ভাষায়, নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বকে একটি অচেনা জায়গায় নিয়ে ফেলেছে, কারণ শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায় এমন আর কোনো রোগ-জীবাণুকে এর আগে এমন ব্যাপক মাত্রায় ছড়াতে দেখা যায়নি। তবে সঠিক পদক্ষেপ নিলে এ রোগও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
নতুন এ করোনাভাইরাসে ৯০ শতাংশের বেশি মৃত্যু ঘটেছে চীনের হুবেই প্রদেশে, যেখানে গতবছরের শেষে এ ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সোমবার দেশটির মূল ভূখণ্ডে আরও ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে।
তাতে চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৪৩ জনে। আর বিশ্বে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ জন।সব মিলিয়ে বিশ্বে ৯০ হাজার ৫০৬ জনের নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত, এর মধ্যে ১০ হাজার ৩৫৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন চীনের বাইরে।
চীনের বাইরে সংক্রমণের ৮০ শতাংশের বেশি ঘটনা ঘটেছে ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও জাপানে।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে ইরানে। সোমবার সেখানে মৃতের সংখ্যা ৫৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৬ জন। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ৩৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫২ জন।
এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৮ জন, জাপানে ১২ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ জন, হংকং ও ফ্রান্সে দুজন করে এবং ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে একজন মনে মারা গেছেন নভেল করোনাভাইরাসে।