করোনাভাইরাস: এক প্রমোদতরীর ১০ যাত্রী আক্রান্ত
জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করা একটি প্রমোদতরীর অন্তত ১০ জন প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে।
ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের ওই প্রমোদতরীর ৩৭০০ আরোহীর মধ্যে প্রায় ৩০০ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা অব্যাহত থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, অনুমান বিবিসির।
গত মাসে জাহাজে থাকা হংকংয়ের ৮০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আরোহীদের পরীক্ষা করা শুরু হয়। যে ১০ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়েছে তাদের সবার বয়স পঞ্চাশোর্ধ বলে জানিয়েছে জাপানি গণমাধ্যম এনএইচকে। এদের কারও পরিস্থিতিই ‘গুরুতর’ নয় বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো বলেছেন, “আক্রান্তদের জাহাজ থেকে নামিয়ে মেডিকেল সংস্থাগুলোতে পাঠাচ্ছি আমরা।”
হংকংয়ের যে ব্যক্তিকে ভাইরাসটির উৎস বলে মনে করা হচ্ছে তিনি ২০ জানুয়ারি প্রমোদতরীটিতে উঠেছিলেন, ২৫ জানুয়ারি তিনি হংকংয়ে জাহাজ থেকে নেমে যান। এর কয়েকদিন পর তার শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি ধরা পড়ে।
সাবেক যাত্রীর অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে প্রমোদতরীটির কর্মকর্তারা সোমবার সন্ধ্যা থেকে যাত্রীদের পরীক্ষা শুরু করেন। মঙ্গলবার থেকে ইয়োকোহামা বন্দরে জাহাজটিকে পৃথক করে রাখা হয়।
এখন জাহাজটির যাত্রী ও ক্রুদের কুয়ারেন্টিন অবস্থায় ১৪ দিন রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভাইরাসটি পোষক দেহে প্রায় দুই সপ্তাহ সুপ্ত অবস্থায় থাকার পর সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে মনে করা হয়।
জাহাজটির ব্রিটিশ যাত্রী অ্যাবেল বলেন, “আমরা এখন সরকারিভাবে কুয়ারেন্টিন অবস্থায় আছি। আমাদের জাহাজেই থাকতে হবে, আমাদের কেবিনেই থাকতে বলা হয়েছে।”
মঙ্গলবার পর্যন্ত চীনে নভেল করোনাভাইরাসে ২৪ হাজার ৩২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন আর মৃতের সংখ্যা ৪৯০ জনের দাঁড়িয়েছে। চীনের মূলভূখণ্ডে বাইরে ফিলিপিন্স ও হংকংয়ে আক্রান্ত আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ভাষ্য অনুযায়ী বিশ্বের আরও ২৪টি দেশ ও অঞ্চলের ১৭৬ জন এই করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।