করোনাভাইরাস: ইউরোপে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া রোধ করার প্রচেষ্টায় ইউরোপের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৩০ দিন ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের ভ্রমণ স্থগিত থাকবে।
তবে ‘কঠোর কিন্তু প্রয়োজনীয়’ এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাজ্যের ওপর আরোপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত বছরের শেষ দিন চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহান থেকে শুরু হয়ে বুধবার নাগাদ বিশ্বের ১২১টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী ১ লাখের বেশি মানুষকে আক্রান্ত এবং ৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হওয়ায় এই ভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯ কে এখন মহামারী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ।
এই করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪৩টি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতেও ছড়িয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ১২০০ জনেরও বেশি আর মারা গেছে ৩৮ জন।
“আমাদের দেশে নতুন সংক্রমণের প্রবেশ ঠেকাতে ইউরোপ থেকে সব ধরনের ভ্রমণ স্থগিত করবো আমরা,” বলেন ট্রাম্প।
“শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নতুন বিধি কার্যকর হবে,” যোগ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের পূর্বসতর্কতা গ্রহণ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তা ‘গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নভেল করোনাভাইরাসে চীনের বাইরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালি দেশজুড়ে ‘লকডাউন’ ঘোষণার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প এসব কথা বলেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা ইতালিতে খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে হওয়া অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষে ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য শত শত কোটি ডলার ঋণ যোগান দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন তিনি। এই একই লক্ষে বড় ধরনের কর ছাড়ের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
“আমেরিকান জনগণের সুরক্ষার জন্য আমরা ফেডারেল সরকার ও বেসরকারি খাতের পুরো শক্তিকে শ্রেণিবদ্ধভাবে পরিচালনা করছি,” বলেছেন তিনি।