করোনাভাইরাস: আদালত কীভাবে চলবে, ‘সিদ্ধান্ত শিগগিরই
বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশে আদালতের কার্যক্রম কীভাবে চলবে- সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সচেতন। আমরা সমস্ত জজ সাহেব বসে সিদ্ধান্ত নেব এটা নিয়ে কী করা যায়।”
২৫ মার্চ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কোর্ট খোলার আগে আমরা একবার বসব। বিচারপ্রার্থী যারা আছেন, তাদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোর্ট খোলার আগেই আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব, তখন আপনাদের সেটা জানাব।”
নিম্ন আদালতে জনসমাগম বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে প্রধান বিচারপতি বলেন, “নিম্ন আদালত যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের অধীনে, সুতরাং সব ব্যাপারেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
“লক্ষ লক্ষ বিচারপ্রার্থী রয়েছে, তাদের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। পরিপূর্ণভাবে যদি কোর্ট বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যাবে। কারণ অনেকেই জরুরি বিষয় নিয়ে কোর্টে আসে। সবাই বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।”
বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় দুই লাখে; মৃতের সংখ্যা আট হাজারের ঘর ছুঁইছুঁই করছে।
এই পরিস্থিতি বিশ্বের অনেক দেশ চলফেরা ও জনসমাগমে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, বাংলাদেশেও সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশফেরত সবাইকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যে প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের বিচারিত কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনও এ ধরনের ব্যবস্থা করার আইনি কাঠামো তৈরি হয়নি।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করে প্রধান বিচারপতি ববলেন, “বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালনে আমরা বিস্তারিত পদক্ষেপ নিয়েছি। নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্ট- সব আদালতে বছরব্যাপী কর্মসূচি পালন হবে।”
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করেন। হাই কোর্ট বিভাগের বিচারকরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।