December 22, 2024
জাতীয়

করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশের ফ্লাইট বাতিলের পরিকল্পনা নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাইট বাতিলের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তে চীন সরকারের দেওয়া ৫০০ টেস্টিং কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান তিনি। নভেল করোনাভাইরাস চীন থেকে এরই মধ্যে ৩৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে প্রায় ২৭০০ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্ত দেশগুলোর সঙ্গে বিমানের ফ্লাইট বাতিলের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যে কোনো ফ্লাইট বাতিলের পরিকল্পনা নেই।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ফ্লাইটের সংখ্যা সব দেশেই কমে গেছে। লোকজন চলাফেরা কমিয়ে দিয়েছে। এতে করে পর্যটন শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর অর্থ হলো লোকজন নিজেরাই চলাচল কমিয়ে দিয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপর জোর দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের চেষ্টা করা উচিৎ যাতে করোনাভাইরাস দেশে না আসে। করোনাভাইরাস যাতে আমরা ঠেকাতে পারি। আমাদের দেশে বাইরে থাকুক- এটি চেষ্টা করাটা আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে ৩ লাখেরও বেশি মানুষকে পরীক্ষা করে কারও দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের রোগী আমরা পাইনি। আমরা সব ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। পরীক্ষা করার জন্য সব ব্যবস্থা আছে। চিকিৎসা দেয়ারও ব্যবস্থা আছে।

চীনে আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগে আড়াই হাজার ছিল, এখন ৪০০ এরও নিচে নেমে এসেছে। মৃত্যুর সংখ্যা এখনও বাড়তি আছে। আরেকটি দুঃসংবাদ হল, নতুন দেশে আক্রান্ত হয়েছে- মধ্যপ্রাচ্যে, কুয়েতে, ইরানে, ইরাকে দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ৫০০ট টেস্টিং কিট তুলে দেন।

বর্তমানে দেশে কিট প্রায় ২ হাজারের মতো রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন আরও ৫০০ কিটস আমাদের দিচ্ছে। ইনশাআল্লাহ কিটসের কোনো অভাব হবে না।

একটি কিট দিয়ে একজনকেই পরীক্ষা করা যায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখনকার জন্য এই কিটসই যথেষ্ট, এছাড়া আরও কিট পাইপলাইনে আছে। আমরা এ পর্যন্ত ৭৯ জনের (করোনাভাইরাস আছে কিনা) পরীক্ষা করেছি।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব হাসপাতালেই কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ড করা আছে। এক কথায় বলতে গেলে আমরা মোটামুটি প্রস্তুত আছি।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *