করোনাভাইরাস: অহেতুক মাস্ক পরার দরকার নেই : প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অহেতুক মাস্ক পরে বসে না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ এবং যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই এ বিষয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে ঘরের মধ্যে মাস্ক পরে থাকার দরকার নেই। শুধু যাদের সর্দি-কাশি হয়েছে তারা একটু সাবধানে থাকবেন। গতকাল সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা আতঙ্কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনে কিনে জমা করে রাখবার দরকার নেই। পাগলামি করার দরকার নেই। সর্দি-কাশিতে কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। কাপড় কেটে ঘরের মধ্যই রুমাল তৈরি করা যেতে পারে। হ্যান্ড সেক (করমর্দন) করবেন না কেউ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন, জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন।
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান স্থগিতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই নিজ নিজ দেশে করোনা ভাইরাস সমস্যার কারণে আসতে পারছেন না। তাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত জনসমাগমের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি ঠিক হলে আমরা প্রোগ্রাম আয়োজন করবো।
আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হার যে খুবই বেশি তা নয়। বিশ্বজনসংখ্যার অনুপাতে হিসেব করলে দেখা যায় প্রতিলাখে এ ভাইরাসে দুইজন সংক্রমিত হয়েছেন। তাই এ নিয়ে আতঙ্ক নয়, সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল (রোববার) ইতালি ফেরত দুজন এবং তাদের এক স্বজন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বলে শনাক্ত করা হয়। এরপর আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের আলাদা করেছি ও সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আলাদা একটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্দিষ্ট হাসপাতাল তো রয়েছেই। এছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় পৃথক বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরসহ দেশের সব প্রবেশ পথে আগতদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।