November 25, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা বাদলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন উদ্দেশ্য প্রণোদিত

দ. প্রতিবেদক : কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদলের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১২টায় কয়রা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাটমার চর গ্রামের এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সোনিয়া অন্যের প্ররোচনায় গতকাল শনিবার (৬ জুন ) খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কয়রা আমার নামে সাংবাদিক ভাইদের সামনে অসত্য, বানোয়াট, কল্প-কাহিনী উপস্থাপন করেছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলন করে যে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন সে বিষয়ে আমি কিছুই জানে না বা ঘটার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এবং অভিযোগে যে সময় ঘটনার উল্লেখ করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সে সময় ২৪ মে রাত ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহার কাছে হাজির হই। বর্তমানে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আমিনুল হক বাদল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা সোনিয়া পারভীনকে কোন প্রকার হুমকি-ধামকি দেই নাই। খুলনা জেলা কমিটির দেয়া কমিটি ২২ দিনের মাথায় কেন্দ্র বিলুপ্ত করে কেন্দ্র থেকে আমাদের নতুন কমিটি দেওয়ার পর থেকে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সব সময় অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। আমরা কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন থেকে অব্যাহত ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারকে ভয় পাইনা।

এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু বলেন, গত শনিবার সংবাদ সম্মেলনে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের হাফিজুর রহমানের মেয়ে সোনিয়া পারভীন সংবাদ সম্মেলনে আমার উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকের সম্পর্কে ইভটিজিং, যৌন হয়রানি, ছিনতাই মারপিট ও পরবর্তীতে হুমকি ধামকির অভিযোগ করেছেন । অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা বরাবরের মতো ষড়যন্ত্রের এটা ষড়য়ন্ত্রের একটি অংশ। ছাত্রলীগ নিয়ে ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। এটা চলমান বিষয়। একটি বিশেষ মহল নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এ ধরণের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে আমি মনে করি। একটি বিশেষ মহল হিটলারের প্রচার সম্পাদক গোয়েবলসের উত্তরসূরী হিসেবে কাজ করছে। কারণ গোয়েবলস প্রচার করতো “মিথ্যাকে বাব বার প্রচার কর, এক সময় সেটা সত্য হিসেবে সবাই ধরে নিবে।” আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ লিখনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা যাতে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এ জন্য নেতৃবৃন্দ জোর দাবী জানান।

শরিফুল ইসলাম টিংকু আরও জানান, গত ২৪ জুন ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের তৎকালীন সভাপতি মোঃ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর যৌথ স্বাক্ষরে আমাদের কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের ৫ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি অনুমোদন দেন। কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আজ অবদি কোন বিতর্কিত কাজের সাথে উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল ও উপজেলা ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী লিপ্ত হই নাই। উপজেলার যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল হক বাদল এর আগে ২০১৫ সালে ১ জানুয়ারী উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত হন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা একে এম ফজলুল হক বর্তমানে দীর্ঘদিন যাবত কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা ও ৭টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন।উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, অঙ্গ সংগঠের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা শেফার, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ রানা, বেলাল আহম্মেদ বিল্লু, রিজভী, আমিনুর রহমান রাজা, মেহেদী হাসান, জুবায়ের প্রমুখ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *