September 8, 2024
আঞ্চলিক

কপিলমুনিতে মুক্তি ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে ধুম্রজালের সৃষ্টি!

 

কপিলমুনি প্রতিনিধি

স¤প্রতি কপিলমুনিতে সাতক্ষীরার তালা থেকে পরিচালিত মুক্তি ফাউন্ডেশনের একটি প্রোগ্রাম কে কেন্দ্র করে জনমনে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তি ফাউন্ডেশন নামের সংস্থা কর্তৃপক্ষ কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদে এক অবহিত করণ সভা আয়োজন করেন। ব্যানারে লেখা ছিল অবহিত করণ সভা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। যার অর্থায়ন করেছে ইউকেএইড। এমতাবস্থায় জনমনে প্রশ্ন জেগেছে মাত্র ১৬/১৭ জন কে নিয়ে অবহিতকরণ সভা কেন? কেনইবা এ সভা? এর উদ্যেশ্যই বা কি? কিসের প্রয়োজনে? কি উদ্দেশ্য নিয়ে ইউকেএইড কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে সংস্থাকে? আসলে কি সঠিক ভাবে দাতা সংস্থার উদ্যেশ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে, নাকি যৎসামান্য কাজ দেখিয়ে বিনিয়োগকৃত অর্থ হরিলুট হচ্ছে?

সুত্রমতে পাইকগাছা উপজেলার ৪ ইউনিয়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দাতা সংস্থা ইউকেএইড ৩বছর মেয়াদে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ করে। যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় সাতক্ষীরার তালা থেকে পরিচালিত মুক্তি ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা। এদের কাজের প্রকল্প হচ্ছে খাস জমির সুষ্ঠ বন্টন। গত ৩০ এপ্রিল এ উপলক্ষে মুক্তি ফাউন্ডেশন কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদে এক অবহিত করণ সভার আয়োজন করে। মুক্তি ফাউন্ডেশনের পরিচালক গোবিন্দ ঘোষের উপস্থিতিতে অবহিতকরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার, ইউপি সদস্য, সদস্যা সহ ১৬/১৭ জন উপস্থিত ছিলেন। অথচ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য কি, মুষ্টিমেয় লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধতার কারণ কি? এ নিয়ে চলছে নানামুখী সমালোচনা।

জানাগেছে, মুক্তি ফাউন্ডেশন পরিচালিত ভুমিহীনদের অধিকার নিশ্চিত, খাস জমির জরিপ, বণ্ঠণ প্রকল্প দায়িত্ব নিলেও পাইকগাছা উপজেলায় খাস জমির বন্দোবস্ত বন্ধ রয়েছে। সে অনুযায়ী ৩ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হলে পাশাপাশি সংস্থাটির দায়িত্ব শেষ হবে। কার্যত ইউকেএইড এর বরাদ্ধকৃত ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার এ প্রকল্পও শেষ হলে সংস্থা (মুক্তি ফাউন্ডেশন) লাভবান হবে। আর এ জন্য কাগজে কলমে দায়সারা কাজ দেখানোর জন্য কাকতালীয়ভাবে অবহিতকরণ সভা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সুত্র জানায়, ইতোমধ্যে সংস্থা কর্তৃপক্ষ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে এমনিভাবে অবহিত করণ সভা করেছে। এ বিষয়ে জানতে সংস্থাটির পরিচালক গোবিন্দ ঘোষ জানান, পাইকগাছা, কয়রা এবং তালা ৩টি উপজেলায় আমাদের উপর অর্পিত প্রকল্প সমুহ প্রাথমিকভাবে অবহিত করতে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে অনুষ্ঠান করেছি। তিনি বলেন ৩টি উপজেলা মিলে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ইউকেএইড ডোনেট করেছে। পাইকগাছায় খাস জমির বন্দাবস্ত ব্যাবস্থাপনা বন্ধের বিষয় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরোও বলেন, বিষয়টি চালুর জন্য আবার আবেদন করার কথা জানিয়েছেন উপজেলা ভুমি কমিটি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *