কপিলমুনিতে বিয়ের দাবীতে অনশনরত ইয়াসমিন নিখোঁজ!
কপিলমুনি প্রতিনিধি
কপিলমুনিতে বিয়ের দাবীতে অনশনরত যুবতী ইয়াসমিন এখন কোথায়? কি হয়েছিল সে দিনকার সন্ধ্যায়। নাকি রাতেই কোথাও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ইয়াসমিনের ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ রয়েছে। গত ৯ জুলাই খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের নাছিরপুর কলেজপাড়ার কবির কারিকারের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ঢাকা নবিনগর এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরীর সুবাদে ইয়াসমিন আক্তার নামের এক ষোড়শী কন্যাকে ভালবেসে শয্যাসঙ্গী করেছিল উপজেলার নাছিপুর কলেজ পাড়ার বাসিন্দা কবির কারিকারের পুত্র সুদর্শন যুবক আলতাপ। বিয়ের প্রলোভনে ফেলে দিনের পর দিন লম্পট আলতাপ ইয়াসমিনের সাথে তার ভাড়া বাসায় ইচ্ছামাফিক ভোগ বিলাস করতে থাকে। এক পর্যায় আলতাপ তার পিতার অসুস্থতার কথা জানিয়ে ইয়াসমিনের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। ইয়াসমিন তখনও জানতো না আলতাপ বিয়ের পিঁড়িতে বসতেই বাড়ি এসেছে।
সর্বশেষ গত ৯ জুলাই আলতাপের কপিলমুনির বাড়িতে এসে বিয়ের দাবি জানিয়ে অনশন শুরু করে ইয়াসমিন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আলতাপের বাড়ির বারান্দায় বসে থাকা ইয়াসমিনকে বর্তমানে আর দেখা যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর ধারনা, রাতের আঁধারে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কিভাবে সরানো হলো, কি ঘটেছিল সেইদিন, নাকি তাকে হত্যা করে লাশ সরিয়ে ফেলেছে আলতাপ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এমন সমালোচনা সর্বত্র। এ ঘটনার পর থেকে ইয়াসমিনের ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বিষয়টি জানতে আলতাপের ব্যবহৃত ০১৯১৪৬৯৬০৩৩ নাম্বারে বারংবার যোগাযোগ করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় দাশ বলেন, ‘আলতাপের পরিবারের লোকজন আমার কাছে এসেছিল আমি বলেছিলাম আপনারা থানাকে অবহিত করেন। কিন্তু তা তারা করেছে কিনা আমার জানা নেই।’