কপিলমুনিতে ওয়েলডিং কারখানার আলোক রশ্মিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ
জি.এম. এমদাদ, কপিলমুনি
কপিলমুনির ব্যাস্ততম প্রধান সড়কের দু’পাশ জুড়ে গড়ে উঠা ঝালাই কারখানার হেল্ডিং মেশিনে ব্যবহৃত কার্বনদন্ডের বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ মারাত্বক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরদারী না থাকায় কপিলমুনিতে কার্বনদন্ডের বিষাক্ত ধোয়ায় পথচারী সহ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কপিলমুনি শহরের পাইকগাছা খুলনাগামী প্রধান সড়কের গোলাবাটির বালীর আড়ৎ থেকে শুরু করে শহরের হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার দ’পাশ জুড়ে প্রায় ডজন দুয়েক ঝালাই কারখানা বা দোকান গড়ে উঠেছে। এ সকল কারখানায় সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন যানবাহনের ধাতব যন্ত্রাংশ কিম্বা গৃহনির্মাণ সামগ্রী সংস্কার ও তৈরী করা হয়। আর এ সমস্ত কাজে ব্যবহৃত কার্বনদন্ডের কালো বিষাক্ত ধোয়া চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। যা চোখের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। ফলে পথচারী সহ স্কুলে যাতায়াতকারী শিশুরা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শুধু পথচারী বা শিক্ষার্থী নয় আশপাশের দোকানীরাও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। প্রতিনিয়ত তাদেরকে এই বিষাক্ত ধোয়া সেবন করে চলতে হচ্ছে। এ ছাড়া হোল্ডিং মেশিনে ব্যবহহৃত কার্বনদন্ডের অক্্ির হাইড্রোজেন শিখা থেকে বিচ্চরিত অতি বেগুনী ক্ষতিকর আলোকরশ্মি স্বাস্থ্য ঝুকিতে আরো বিপদজনক করে তুলেছে। কারখানার মালিকরা কোন নিয়ম নীতি না মেনে ঝালায়ের কাজ করে চলেছেন। কোন কোন কারখানা বা দোকানের মালিক কিম্বা শ্রমিকরা সরাসরি রাস্তার পাশেই খোলামেলা ভাবে ঝালায়ের কাজ করছেন।
জানা যায়, রাস্তার পাশে ঝালায়ের কাজ করার সময় কার্বনের লাল নীল আলোক রশ্মিতে কৌতুহলী হয়ে স্কুলের শিশুরা দল বেধে প্রতক্ষ করে। যা অত্যন্ত বিপদজনক। চিকিৎসকরা জানান, কার্বনদন্ডের আলোক রশ্মি শুধু চোখ ও চামড়ার ক্ষতি করেনা। এর ধোয়া ফুসফুস ও হৃদপেশির মারাত্বক ক্ষতি করে। এ ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষার জন্য গত বছরের প্রথম দিকে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিট্রেট এর নির্দেশে সব কারখানা বা দোকানের সামনে কালো পর্দায় আবৃত করে কাজ করা হত। কিন্তু বর্তমান সে নির্দেশ উপেক্ষিত হচ্ছে। কোন কারখানা বা দোকানে কালো পর্দা দেখা যাচ্ছেনা। মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কপিলমুনিবাসী।