কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় ক্ষোভে গলাটিপে হত্যা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নয় মাসের মেয়েকে হত্যার পর তার লাশ ডোবায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় দফায় কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় ‘ক্ষোভে’ ওই ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার মুকন্দগাঁতি এলাকার একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে বেলকুচি থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান। নিহত সুমাইয়া খাতুন ওই এলাকার তাঁত শ্রমিক বদিউজ্জামানের মেয়ে।
ঘটনার বর্ণনায় এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সাত বছর আগে তাঁত শ্রমিক বদিউজ্জামানের সঙ্গে পাবনার চাটমোহরের মির্জাপুর গ্রামের সিকেন্দার আলীর মেয়ে সুন্দরী খাতুনের বিয়ে হয়। কয়েক বছর আগে তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। এ নিয়ে তাদের সংসারে কলহ চলছিল।
এরপর একটি ছেলে সন্তানের আশা করলেও বদিউজ্জামান ও সুন্দরীর সংসারে নয় মাস আবারও মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। এ কারণে প্রায়ই বদিউজ্জামান প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর এবং সন্তানকে হত্যার হুমকি দিতো। এর জেরে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেয় সে। ঘটনার পর থেকে বদিউজ্জামান পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।