কচুরিপানা থেকে তৈরি উন্নতমানের ক্রাপ্ট পেপারের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা শীর্ষক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
নেদারল্যান্ডের বøু গোল্ড ইনোভেশন ফান্ডের উদ্যোগে এবং খুবির গবেষকদের সহায়তায় কচুরিপানা থেকে তৈরি উন্নতমানের ক্রাপ্ট পেপারের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা শীর্ষক এক পরামর্শ সভা গতকাল সকাল ১০ টায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
তিনি বলেন, কচুরিপানা বাংলাদেশের অন্যতম একটি আগাছা। খাল-বিল, বাওড় বা মাঠে-ঘাটে জন্মায়। অনেক ক্ষেত্রেই এ দিয়ে তেমন কোনো কাজ হয় না, বরং ফসল এবং মৎস্য উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও আমরা এতোদিন খুঁজে পাইনি। তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহায়তায় নেদারল্যান্ডের বøু গোল্ড ইনোভেশন ফান্ডের উদ্যোগে এই কচুরিপানা ব্যবহার করে যে উন্নতমানের ক্রাপ্ট পেপার তৈরিতে সাফল্য এসেছে তা খুবই আশাব্যাজ্ঞক। এটাকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করতে পারলে খালে-বিলে আর কচুরিপানা ফেলনা থাকবে না এবং তা দিয়ে গ্রাম-গঞ্জে কুটিরশিল্প গড়ে উঠতে পারে। এটা আর্থিক উপার্জনের মাধ্যমও হতে পারে। তিনি এ প্রচেষ্টার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের টিমকে এই প্রকল্পে গবেষণায় নিয়োজিত থেকে এ উদ্ভাবনের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. রায়হান আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডের বøু গোল্ড ইনোভেশন ফান্ডের টিম লিডার গাই জোনস। অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন এ প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান এবং পাওয়ার পয়েন্টে ক্রাপ্ট পেপার তৈরির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তুলে ধরেন কো প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম। এ সময় সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এ পরামর্শ সভায় অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, ২৫ নম্বর পোল্ডার ডুমুরিয়ার থুকরা এরিয়াতে এই সমীক্ষা ও গবেষণা পরিচালিত হয়।