কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গাসহ নিহত ২
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কক্সবাজারে বিজিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন; যাদের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে বিজিবির ভাষ্য। এছাড়া পৃথক অভিযানে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের খবর দিয়েছে বিজিবি।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান জানান, শনিবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার কে কে খাল এলাকায় গোলাগুলি হলে দুইজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকার ব্রিটিশ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সুলতান আহমদের ছেলে মো. আব্দুল গফুর (৪০) ও টেকনাফ ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকার মোহাম্মদ শরীফের ছেলে মোহাম্মদ সাদেক(২৩)। গফুরের বাড়ি মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু থানার রাম্বি বিল এলাকায়।
বিজিবি কর্মকর্তা ফয়সল বলেন, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পার হয়ে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার খবরে বিজিবির একটি দল কে কে খাল এলাকায় অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে মিয়ানমার দিক থেকে হস্তচালিত একটি নৌকায় পাঁচ-ছয়জন লোককে আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা থামার নির্দেশ দেন।
নৌকার লোকজন বিজিবি সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছুড়তে থাকে। বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। পাচারকারীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে য়ায়। পরে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় তাদের কাছে গামছায় মোড়া এক লাখ ইয়াবা ও দুটি কিরিচ পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। বিজিবি কর্মকর্তা ফয়সল আরও বলেন, প্রায় একই সময় ওমর খাল এলাকায় বিজিবি আরেকটি অভিযান চালিয়ে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে।
মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার খবরে বিজিবির একটি দল ওমরখাল এলাকায় অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে মিয়ানমার দিক থেকে হস্তচালিত একটি নৌকায় করে ছয়-সাতজন লোককে প্রবেশ করতে দেখে বিজিবি থামার নির্দেশ দেয়।
তারা না থেমে নৌকাটি পানিতে ডুবিয়ে দেয়। পরে তারা অন্ধকারে কেওড়া বনের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায়। বিজিবির সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে ডুবিয়ে দেওয়া নৌকাটি তলাশি করে পাওয়া গেছে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা। সব ইয়াবা বিজিবির ব্যাটালিয়ন দপ্তরে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
