কক্সবাজারে গুলিতে নিহত ২ পুলিশ বলছে মাদক ব্যবসায়ী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কক্সবাজার শহরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন আর টেকনাফে দুই দলের গোলাগুলিতে আরেকজন নিহত হয়েছেন; যারা মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশের ভাষ্য। সদর থানার ওসি খন্দকার ফরিদ উদ্দিন জানান, শনিবার ভোরের দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কাটাপাহাড় এলাকা থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশসহ অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।
স্থানীয়দের কাছে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মাদক ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির পাশ থেকে সাড়ে ৩০০ ইয়াবা, একটি বন্দুক, দুটি গুলি ও তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটনায় বলে পুলিশের ধারণা।
এদিকে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলছেন, শনিবার ভোরের দিকে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুদু মিয়া নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। দুদু মিয়া টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার সুলতান আহমদের ছেলে।
ওসি প্রদীপ বলেন, শুক্রবার বিকালে দুদু মিয়াকে পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তৈরি তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী দুদু মিয়া। ভোরে তাকে নিয়ে পুলিশ সাবরাং ইউনিয়নের মুণ্ডারডেইল এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। এ সময় দুদুর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ করে অতর্কিতে গুলি ছোড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুদু মিয়াকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলের আশপাশে তলাশি করে পাঁচটি বন্দুক, ১৩টি গুলি ও চার হাজার ইয়াবা পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুদুর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।