ওসি মোয়াজ্জেমের অভিযোগ গঠন শুনানি ১০ জুলাই
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এরআগে শুনানিতে আসামি মোয়াজ্জেমকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে এনে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। এসময় পাহারায় তার সামনে পুলিশ বাহিনীর কয়েকজন সদস্য ছিলেন। পরে মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ ও আবু সাঈদ সাগর দুটি আবেদন করেন। এরমধ্যে মামলার বিচার্য বিষয় যে ভিডিও বাদি পেনড্রাইভে করে আদালতে জমা দিয়েছেন, তার ভিডিওর অনুলিপি এবং কথা বলার অনুমতি। শুনানি শেষে বিচারক বাদীর জমা দেওয়া ভিডিওর অনুলিপি দেওয়ার অনুমতি দিয়ে আসামি মোয়াজ্জেমের সঙ্গে দেখা করার আবেদন নাকচ করে দেয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফেনীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানো হয়। গত মার্চ মাসে নুসরাত তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করার পর মোয়াজ্জেম তাকে থানায় ডেকে নিয়ে জবানবন্দি নিয়েছিলেন। তার কয়েক দিনের মাথায় নুসরাতের গায়ে অগ্নিসংযোগ করা হলে তা নিয়ে সারাদেশে আলোচনা শুরুর হয়। তখনই ওই জবানবন্দির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের মৃত্যুর পর গত ১৫ এপ্রিল ওই ভিডিও ছড়ানোর জন্য ওসি মোয়াজ্জেমকে আসামি করে ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারক গত ২৭ মে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। এর আগে হাসপাতালে নুসরাতের মৃত্যুর পর ওসি মোয়াজ্জেমকে প্রথমে সোনাগাজী থানা থেকে প্রত্যাহার করে রংপুর রেঞ্জে পাঠান হয়। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় পুলিশ বাহিনী থেকে।