December 21, 2024
জাতীয়

ওসির ফোন নম্বর ক্লোন করে অর্থ আদায়, গ্রেফতার ২

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ফোন নম্বর ক্লোন করে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিন কাউন্সিলর প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- চক্রের মূলহোতা সাইদুল ইসলাম বিপ্লব ও তার সহযোগী পলাশ ইসলাম।

গতকাল রবিবার রাজধানীর একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অপারেটরের ২৯টি সিম, মোবাইল, ব্যাংকের চেক, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ১২০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, প্রতারক চক্রটি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও থানার ওসিদের নম্বর ক্লোন করে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর ক্লোন করে অন্তত ৮১১টি প্রতারণা করেছে চক্রটি।

জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কাশেমকে এবং ২২ জানুয়ারি একই ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লাকে আদাবর থানার ওসির মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে নির্বাচনে জিতিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় প্রতারকরা। বিনিময়ে দুজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা। এতে দুই প্রার্থী টাকা দিতে রাজি হন। তাদের মধ্যে আবুল কাশেম সাত লাখ এবং ইয়াছিন মোল্লা পাঁচ লাখ টাকা বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করেন।

দুদিন পর ২৪ জানুয়ারি ৩১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ডেইজি সারোয়ারকে মোহাম্মদপুর থানার ওসির নম্বর থেকে ফোন দেওয়া হয়। তার কাছেও মোটা অংকের টাকা দাবি করে প্রতারকরা। তিনিও একই কায়দায় পাঁচ লাখ টাকা দেন। পরে দ্বিতীয় দফায় ফের টাকা চাইলে ওই তিন প্রার্থী বুঝতে পারেন যে, তারা প্রতারিত হয়েছেন। এরপর তারা পৃথকভাবে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। তিনজনই এ ঘটনায় মামলা করেন।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার ওসির নম্বর ক্লোন করে চক্রটি তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনার অনুসন্ধানে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জেলায় অভিযান চালানো হয়।

তদন্তের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে প্রথমে সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পলাশ ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চক্রটি বিশেষ দু’টি অ্যাপস ব্যবহার করে ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ৮১১টি প্রতারণা করেছে বলেও জানান তিনি।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *