ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার তালিকা থেকে বাদ সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল
ঐতিহ্যবাহী বিশেষ ভবন ও স্থাপনার তালিকা থেকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে (পুরাতন রেলওয়ে হাসপাতাল) বাদ দিয়েছে সরকার।
আগের তালিকায় ৭৫টি ঐতিহ্যবাহী বিশেষ ভবন ও স্থাপনা থাকলেও তা থেকে হাসপাতালটি বাদ দিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর বিজি প্রেসের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা অনুযায়ী রাজউকের মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকার ঐতিহাসিক, নান্দনিক, বৈজ্ঞানিক, সামাজিক অথবা ধর্মীয় গুরুত্ব বিবেচনায় এসব ঐতিহ্যবাহী বিশেষ ভবন বা স্থাপনা হিসেবে সংরক্ষণের জন্য তালিকাভুক্ত করা হল।
৭৪টি ঐতিহ্যবাহী বিশেষ ভবন ও স্থাপনার এই নতুন তালিকা প্রকাশ করে রাজউক এর আগে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত দুটি তালিকা বাতিল করেছে।
তালিকাভুক্ত ইমারত বলতে ইমারত ও ইমারত সংলগ্ন যে কোনো কাঠামো এবং ইমারতের সীমানার ভেতরে অবস্থিত সব অংশকে বোঝানো হয়েছে।
নগর উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন ছাড়া এই তালিকায় থাকা ভবন ও স্থাপনার কাঠামো আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ, পুনর্নির্মাণ, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন বা সংযোজন নিষিদ্ধ।
রাজউকের পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের তালিকা থেকে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আর গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়ায় ঐতিহ্যবাহী বিশেষ ভবন ও স্থাপনার তালিকা থেকে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন সচিব ইউসুফ হারুন বলেছিলেন, এ হাসপাতালকে ৫০০ বেডের ১৬ তলা হাসপাতালে পরিণত করার প্রস্তাব একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। তাতে ব্যয় হবে ৩৮০ কোটি টাকা।
“সেই কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা শহরের সবচেয়ে ভালো ভালো যে হাসপাতাল ওই পর্যায়ে আমরা এটিকে উন্নীত করতে চাই।”