এ বছর আর খুলছেই না বালি দ্বীপ
পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ দিল ইন্দোনেশিয়া। দেশটির জনপ্রিয় বালি দ্বীপ এ বছর আর পর্যটকদের জন্য খুলছে না। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে থাই সরকার।
জনপ্রিয় এই দ্বীপটি আগামী মাসেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় এই পরিকল্পনা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই দ্বীপের অধিকাংশ মানুষের জীবন-যাত্রা পর্যটন খাতের ওপরই নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন ধরে এই পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
প্রতি বছরই কয়েক লাখ বিদেশি পর্যটক বালি দ্বীপে ঘুরতে যায়। বিভিন্ন বীচ এবং সেখানকার দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন তারা।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারির কারণে পর্যটকদের জন্য নিজেদের দুয়ার বন্ধ রেখেছে থাইল্যান্ড। করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য দেশের অর্থনীতিতেও বড় ধস নেমেছে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের জুলাইতে দেশের ভেতরের পর্যটকদের জন্য বালি দ্বীপ খুলে দিয়েছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বীচ, বিভিন্ন মন্দির এবং অন্যান্য দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়ে পর্যটনখাত কিছুটা চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হয়।
স্থানীয় হোটেল এবং রেস্টুরেন্টগুলোও টিকে থাকার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। অনেক রিসোর্টের কর্মীরা চাকরি হারিয়ে তাদের গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বালি দ্বীপের গভর্নর ওয়েইয়ান কোস্টার বলেন, বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে বালি দ্বীপ-সহ বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি দিচ্ছে না ইন্দোনেশিয়া।
কবে নাগাদ বালি দ্বীপ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হবে সে বিষয়টি পরিষ্কার করা না হলেও বলা হচ্ছে যে, এ বছর আর এই দ্বীপটিতে পর্যটকরা ঘুরতে যেতে পারবেন না।
এখন পর্যন্ত বালি দ্বীপে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫৭৬ জন। অপরদিকে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।
অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার। এর মধ্যে মারা গেছে কমপক্ষে ৬ হাজার ৭৫৯ জন।