এয়ারপোর্টে জব্দ করা ব্রাহামা জাতের গরু ফেরত চেয়ে রিট
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জব্দ করা ব্রাহমা জাতের সেই ১৭টি গরু রিলিজ (মুক্ত) চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছে মোহাম্মপুরের সাদেক অ্যাগ্রো।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও মেহেদী হাসান।
পরে মেহেদী হাসান জানান,১৮টি গুরু জব্দ করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি মারা গেছে। বাকি গরুগুলো রিলিজ চেয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন শনিবার রিট করে। সোমবার তালিকায় ছিল, কিন্তু শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার ০৩ আগস্ট শুনানি হতে পারে।
বিমানবন্দরে কেন গরু আনতে যাননি এমন প্রশ্নে আইনজীবী বলেন, বিস্তারিত আদালতে বলবো।
এর আগে গত ৫ জুলাই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু জব্দ করে ঢাকা কাস্টমস হাউস। গরুগুলো আমেরিকা থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হয়।
ওইদিন ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরুর আমদানিকারককে না পাওয়ায় এগুলো জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গরুগুলোর প্রতিটির মূল্য ১২-১৫ লাখ টাকারও বেশি।
ঢাকা কাস্টমস হাউস জানায়, ১৩ মাস থেকে ৬০ মাস বয়সের এই গরুগুলোর আমদানিকারক হিসেবে মোহামম্দপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর নাম লেখা রয়েছে। তবে বিমানবন্দরে গরুগুলো কেউ নিতে আসেননি।
ঢাকা কাস্টমস হাউস হেফাজতে গরু রাখার ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের জিম্মায় রাখা হয়েছে। গরুগুলোর কোনো দাবিদার না পাওয়া গেলে নির্ধারিত সময় পর নিলামে বিক্রি করা হবে।
পরের দিন (৬ জুলাই) বিকেলে বাংলানিউজকে ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরুর প্রকৃত মালিক পাওয়া না যাওয়ায় গরুগুলোকে সাভার ডেইরি ফার্মে রাখা হয়েছে।