এসি ল্যান্ড সাইয়েমার মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা থেকে প্রত্যাহারকৃত সহকারী কমিশনারের মামলায় গ্রেপ্তার ব্যাংক কর্মকর্তা জাফর আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
যশোরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আকরাম হোসেন সোমবার পুলিশের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার এসআই জহির রায়হান জানান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার সরকারি নির্দেশনার মধ্যে শুক্রবার বিকালে মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) [পরে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে] সাইয়েমা হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে তিন বৃদ্ধকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন এবং ওই দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়; পরে সাইয়েমা হাসানকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে, এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ঢাকার একটি শাখার কর্মকর্তা জাফর আহমেদ নিজের ফেইসবুকে সাইয়েমা হাসান সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এরপর সাইয়েমা হাসান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জাফরের বিরুদ্ধে মামলা করলে রোববার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাফর আহমেদ ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার লাঙ্গলমোড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিকীর ছেলে বলে মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার জানান।
শিকদার মতিয়ার বলেন, জাফর আহমেদ তার ফেইসবুক আইডিতে এসি ল্যান্ড সাইয়েমা হাসানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় সাইয়েমা হাসান বাদী হয়ে জাফর আহমেদকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে মনিরামাপুর থানায় আইসিটি আইনে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) মামলা করেন।
“এরপর ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে জাফর আহমেদকে ডিবি পুলিশ আটক করে। খবর পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহির রায়হানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম রোববার ঢাকায় যায়। ওই রাতেই ঢাকা মহানগর উত্তর ডিবি পুলিশের কার্যালয় থেকে জাফর আহমেদকে মনিরামপুর থানায় আনা হয়।”
এসআই জহির রায়হান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন জানিয়ে সোমবার জাফর আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু অতিরিক্তি মুখ্য বিচারিক হাকিম আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার আরও জানান, মনিরামপুরের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করার অভিযোগে উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার প্রহ্লাদ দেবনাথ বাদী হয়ে কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে রোববার রাতে আরেকটি মামলা করেছেন। এ মামলায় পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি।