এসিআর নিয়ে নতুন নির্দেশনা
প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কায় কর্মকর্তাদের বিশেষ বিবেচনায় বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে (এসিআর) নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রশাসনের বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা বাতিল করা ফর্মে এসিআর দাখিল করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, গোপনীয় অনুবেদন ফর্ম এবং এ সংক্রান্ত ২০১২ সালের অনুশাসনমালা ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি গেজেটের মাধ্যমে বাতিল করে নতুন গোপনীয় অনুবেদন ফর্ম এবং ‘গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা, ২০২০’ জারি করা হয়েছে। গোপনীয় অনুবেদন ফর্মটি গত ২ জুন পুণর্বিন্যাস করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopa.gov.bd) আপলোড করা হয়েছে। নতুন ফর্ম এবং অনুশাসনমালা অসামরিক প্রশাসনে নিয়োজিত নবম গ্রেড ও এর ওপরের প্রায় সকল কর্মকর্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে আশঙ্কা করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তর/ অধিদপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মকর্তা বাতিল করা ফর্মে ২০২১ সনের এসিআর দাখিল করেছেন। বাতিল ফর্মে কিন্তু যথাসময়ে দাখিল করা এ বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তার এসিআর নাকচ করা হলে তাদের পদোন্নতি ও পদায়ন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘এমতাবস্থায়, গত ২ জুনের আগের ফর্মে দাখিল করা এসিআর বাতিল করে বিশেষ বিবেচনায় গড় নম্বর দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ডোসিয়ার সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয় প্রজ্ঞাপনে। এ বিধান কেবলমাত্র ২০২১ সালের এসিআরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়। ’
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অনুবেদনাধীন (যার এসিআর) কর্মচারী যথানিয়মে যথাসময়ে এসিআর দাখিল করলে প্রমাণক যাচাই অন্তে তার কোনো ত্রুটি না থাকলে তাকে অব্যাহতি দিয়ে পূর্ববর্তী ৩ বছরের প্রাপ্ত এসিআরের গড় নম্বর দেবেন। তবে পূর্ববর্তী এসিআরের সংখ্যা ৩ বছরের কম হলে প্রাপ্ত এসিআরের ভিত্তিতে গড় নম্বর দিতে হবে।
অনুবেদনাধীন কর্মচারীর পূর্ববর্তী কোনো এসিআর না থাকলে ৯৪ নম্বর দিতে হবে।