এসএসসিতে বসেছে ২০ লাখ শিক্ষার্থী
দেশের সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা; যাতে এবার অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও সহজ বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডে ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) এবং বাংলা-২ (১৭২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) এবং বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে প্রথম দিন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোটের তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় সোমবার তা শুরু হল।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও কারিগরির তত্ত্বীয় এবং ১ মার্চ পর্যন্ত দাখিলের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সকাল সাড়ে ৯টায় পরীক্ষা শুরুর আগে তেজগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এর আগে তিনি তিনি জানিয়েছিলেন, এ বছর ২৮ হাজার ৮৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
# নয়টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে এবার ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষায় বসেছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৯১৮ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ জন ছাত্রী।
# দাখিলে এবার ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিচ্ছে।
# এ বছর ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৮ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩২৫ জন অনিয়মিত এবং ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৪ জন বিশেষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।
# বিদেশের আটটি কেন্দ্রে এবার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
স্কুল পেরুনোর এ পরীক্ষায় গতবারের মত এবারও বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশের উত্তর দিতে হচ্ছে আগে। পরে নেওয়া হবে সৃজনশীল/রচনামূলক অংশের পরীক্ষা।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর হলে প্রবেশের নিয়মও বহাল আছে।অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণসহ সমস্ত কিছু রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে সাথে সাথে শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে।
প্রশানফাঁস এড়াতে প্রশ্নের সেটকোড কেন্দ্রে জানানো হচ্ছে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারছেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব এমন একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, যাতে ছবি তোলা যায় না।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
আর অটিস্টিট পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বেশি দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নে।
নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে পাওয়া নম্বর অনলাইনের বোর্ডে পাঠাবে।
প্রশ্ন ফাঁসরোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সব মহলকে প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে কান না দিতে আগেই অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, “অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানাব, কোনোভাবেই কেউ যেন প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে কান না দেন। কিছু প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রটনা করে, মানুষের সাথে প্রতারণা করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে।”