এলপিজি-চাল-পেয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে বিএনপির উদ্বেগ
খবর বিজ্ঞপ্তি
বছরে একাধিকবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যাবে বলে সরকার মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জনবিরোধী এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কয়েকদিনের মাথায় গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। মুনাফালোভী বেসরকারি কোম্পানীগুলো কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ১২ কেজির ছোট সিলিন্ডারে প্রায় দেড়শ এবং বড় সিলিন্ডারে প্রায় ছয়শ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে। এর সাথে পেয়াজ কারসাজিতে জড়িত সিন্ডিকেট সরকারের নির্লিপ্ততার সুযোগে আবারও নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি নিয়ে কারসাজিতে মেতে উঠেছে। প্রায় তিনশ টাকায় পৌছে যাওয়া পেয়াজ দাম কমে ১০০ টাকায় আসার পর গত দুই দিন বাজারে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই একটি পণ্য খাতে বাজার থেকে লুটে নেওয়া হাজার কোটি টাকা সিন্ডিকেটের কাছ থেকে উদ্ধার করা ও তাদেরকে শাস্তির সম্মুখিন করা দূরে থাক, সেই সিন্ডিকেটই আবার বৃষ্টির দোহাই দিয়ে পেয়াজের ভরা মৌসুমেই আবার দাম বাড়ানোর খেলায় মেতে উঠছে। একই সাথে বাড়ছে চালের দাম। এর সাথেও সরকার সমর্থক অসাধু ব্যবসায়ী চক্রই জড়িত রয়েছে।
এলপি গ্যাস-চাল-পেয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ, সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ এবং অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।