এলজিইডি খুলনা’র গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ মাস অক্টোবর-২০২০ উদ্বোধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অক্টোবর মাসকে দেশজুড়ে “গ্রামীন সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের মাস” ঘোষনা করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।“মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, সড়ক হবে সংস্কার” এ স্লোগানকে সামনে রেখে ১ অক্টোবর থেকে সারা দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় একযোগে শুরু হয়েছে এ কর্মসূচী।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম অনলাইনে গ্রামীন সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ মাস হিসেবে অক্টোবর মাসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় দৌলতপুর আরএন্ডএইচ-শাহাপুর জিসি (দিঘলিয়া অংশ) সড়কে আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রামীন সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ মাসের কার্যক্রম হিসেবে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ (অন-পেভমেন্ট) এর কাজ শুরু করা হয়।
এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের মধ্যে হতে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রতন কুমার দে, খুলনা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম কবীর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুলনা অঞ্চল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম নুরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী দিঘলিয়া আবু তারেক সাইফুল কামাল, উপজেলা প্রকৌশলী বটিয়াঘাটা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী নির্মল কুমার কুন্ডু সহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
খুলনা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম কবীর জানান, খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় মোট ৬৪৩৬.৬০ কিলোমিটার গ্রামীন সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ৩২১১.৮০ কিলোমিটার পাঁকা সড়ক বিদ্যমান। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে খুলনা জেলার জন্য ৪১টি সড়কে ৮০.৬১০ কিলোমিটার সড়ক সমায়ন্তর সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয় যার দরপত্র কার্যাদেশ পর্যায়ে আছে। খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় ১০১টি সড়কে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে (অফ-পেভমেন্ট) ১৮ জন সুপারভাইজার ও ৩৫৫ জন কর্মী সমন্বয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া জঊজগচ-৩ এর আওতায় ৯ উপজেলায় ৬৮ টি ইউনিয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি ৬৮০ জন কর্মী ১৩৬০ কিলোমিটার সড়কে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে। মুজিববর্ষে সড়ক সংস্কারের মাধ্যমে সড়ক নেটওর্য়াক নিরাপদ রাখার পাশাপাশি ১০৫৩ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা গ্রামীণ অতি দরিদ্র ও কোভিড-১৯ এ সৃষ্ট বেকারত্ব নিরসনের লক্ষ্যে সড়কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের শ্রমঘন কাজে স্থায়ী ভাবে শ্রমিক নিয়োগ করে সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
গ্রামীণ সড়কের ক্ষয়-ক্ষতির হার কমিয়ে সড়ক ব্যবহারকারীদের সম্পৃক্ত করে সড়কের স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধি, সড়ক যোগাযোগ নিরাপদ করা, সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করন এবং সংশ্লিষ্টদের উক্ত কাজে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বছরব্যাপী সড়কের নিয়মিত সংস্কার কাজ অব্যাহত রাখা এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ