এরশাদ দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরবেন, আশা জিএম কাদেরের
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়া বিরোধীদল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করছেন তার ভাই ও দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
এরশাদ সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরদিন সোমবার নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে দলের বনানী কার্যালয়ে আসেন জি এম কাদের। মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বলে জাতীয় পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রক্তে কমে যাওয়া হিমোগ্লোবিন ও লিভারের সমস্যার চিকিৎসা নিতে রোবববার সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। যাওয়ার আগে এরশাদ ভাই কাদেরকে চেয়ারম্যনের দায়িত্ব দেন।
‘গুরুতর অসুস্থ’ এরশাদ আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ‘থাকছেন না’ বলে রোববার জানিয়েছিলেন জি এম কাদের। এরশাদ কাউকে ‘চিনতে পারছেন না’ বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে তাও ঠিক নয় বলেছিলেন কাদের।
জাতীয় পার্টির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জি এম কাদের বানানী কার্যালয়ে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, এরশাদের শাসনামলে দেশে ‘তুলনামূলকভাবে কম দুর্নীতি হয়েছে’। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শুধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলেই দেশে দুর্নীতি তুলনামূলকভাবে কম ছিল। মানুষের মধ্যে শান্তি ও স্বস্তি ছিল। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
১৯৮২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেন স্বৈরশাসক এরশাদ। প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসনের পর ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি গঠন করেন, সে বছর সাধারণ নির্বাচনের আয়োজনও করেন তিনি। পরে সে নির্বাচনে তার দল জয়লাভ করলে তিনি রাষ্ট্রপতির পদটিতেও নিজেকে আসীন করেন।
সোমবারের অনুষ্ঠানে জি এম কাদের দাবি করেন, রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের সময় এরশাদ দেশে ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে’ সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে গেছেন, উপজেলা পদ্ধতি প্রণয়ন, রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ করে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। পরবর্তীতে দেশে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে, তার ভিত্তি তৈরি করেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।