এবার বাংলালিংকের নিরীক্ষায় যাচ্ছে বিটিআরসি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নিরীক্ষা দাবি নিয়ে গ্রামীণফোন ও রবিকে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়ার পর এখন মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের হিসাব নিরীক্ষা করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এজন্য দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৪ ফেব্রয়ারির মধ্যে আগ্রহপত্র চেয়ে সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রচলিত আইন ও বিধি মেনে বিটিআরসি নিজস্ব ব্যয়ে এ নিরীক্ষা পরিচালনা করবে। অপারেটরের আর্থিক, কারিগরি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সবই নিরীক্ষার আওতায় পড়বে।
বিটিআরসি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিটিআরসির নথির সঙ্গে অপারেটরদের আমদানি যন্ত্রপাতির দাম যাচাই করে দেখে। এছাড়া অপারেটরদের দেওয়া প্রকৃত রাজস্বের হিসাব ঠিক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে বিটিআরসি ও এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা।অপারেটরদের আর্থিক বিবরণী যাচাইও নিরীক্ষার অংশ থাকে।
চলতি বছর নভেম্বর নাগাদ ৩ কোটি ৫১ লাখ ১২ হাজার গ্রাহক সংখ্যা নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে বিটিআরসি ২০১১ সালে বাংলালিংকের নিরীক্ষায় গেলেও নিরীক্ষক নিয়োগ বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
গত বছরের ৩১ জুলাই গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে চিঠি দেয় বিটিআরসি। সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে বিটিআরসি রাজি না হওয়ায় দুই কোম্পানি আদালতের দ্বারস্থ হয়। রোববার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার নিরীক্ষা দাবির মধ্যে রবিকে ১৩৮ কোটি টাকা কিস্তিতে পাঁচ মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বিটিআরসির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা দাবির নোটিসের ওপর হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে গ্রামীণফোনকে অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।