এবার ফাইজারের ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমোদন দিল বাহরাইন
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জরুরি চিকিৎসার জন্য মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার ও তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বাহরাইন। বিশ্বের মাত্র দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের অনুমতি দিল তারা। কিছুদিন আগে প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য।
শুক্রবার বাহরাইনের জাতীয় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (এনএইচআরএ) জানিয়েছে, দেশটি ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে, যা উচ্চঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ওপর ব্যবহৃত হবে।
তবে কী পরিমাণ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে বা কবে নাগাদ এটি প্রয়োগ শুরু হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি বাহরাইন। এ নিয়ে মুখ খোলেনি ফাইজার-বায়োএনটেক কর্তৃপক্ষও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাহরাইনের জন্য ফাইজারের ভ্যাকসিন পরিবহন ও বিতরণ হবে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায় নিয়মিতই। সেখানে ফাইজারের ভ্যাকসিন পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।
বাহরাইন ভ্যাকসিন পরিবহনে তাদের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা গালফ এয়ারের উড়োজাহাজ ব্যবহার করতে পারে। তবে পার্শ্ববতী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস এয়ারলাইন জানিয়েছে, তারা উচ্চশীতল তাপমাত্রায় করোনা ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে।
করোনামুক্ত হতে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ফাইজারের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
বাহরাইন এর আগেই সিনোফার্মের তৈরি চীনা ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই অন্তত ছয় হাজার মানুষের ওপর তা ব্যবহারও করা হয়েছে। সিনোফার্মের ওই ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে আমিরাতেও।
বায়োএনটেক জানিয়েছে, তারা ২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাকসিনের ৫৭ কোটি ডোজ সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ৬০ কোটি ডোজ সরবরাহের কথা রয়েছে। জার্মান প্রতিষ্ঠানটির আশা, আগামী বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তারা অন্তত ১৩০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে পারবে।
১৬ লাখ জনসংখ্যার দেশ বাহরাইনে এপর্যন্ত ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে অন্তত ৩৪১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫ হাজারের বেশি ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে জানিযেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।