April 20, 2025
করোনাজাতীয়

এবার টিকা কিনতে ৮ হাজার কোটি টাকা দিলো এডিবি

বিশ্বব্যাংকের পরে এবার করোনা রোধে ভ্যাকসিন কিনতে বাংলাদেশেকে ৯৪ কোটি ডলার দিলো এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) শের-ই-বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ঋণচুক্তিতে সই করেন।

এতে বলা হয়, ‘রেসপন্সিভ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ফর রিকভারি প্রজেক্ট আন্ডার দ্যা এশিয়া-প্যাসিফিক ভ্যাকসিন অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি’ প্রোগ্রামের আওতায় এ ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি।

অর্থবিভাগ এ প্রোগ্রামের উদ্যোগী বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রকল্পের সার্বিক তদারকি করবে। ভ্যাকসিন সাপোর্ট প্রোগ্রামটি জুন ২০২১ থেকে মে ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। এর উদ্দেশ্য হলো কোভিড-১৯ অতিমারি প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ক্রয়ে সহায়তা করা।

ঋণের এ ৯৪ কোটি ডলারের অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৭ কোটি ডলারের জন্য বাংলাদেশকে নিয়মিত হারে (২ শতাংশ) সুদ দিতে হবে। অবশিষ্ট ৪৭ কোটি ডলার রেগুলার সুদ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অব্যয়িত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ ঋণের জন্য প্রযোজ্য হবে।

এডিবির দেওয়া এ ঋণ ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। এডিবি এ যাবৎ বাংলাদেশ সরকারকে ২৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে। যার মধ্যে ২৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা এবং ১ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা রয়েছে।

এডিবি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণের লক্ষ্যে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা,  প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের পলিসি সাপোর্ট, কোভিড-১৯ রেসপন্স এমার্জেন্সি এসিসটেন্স শীর্ষক প্রকল্পে ১০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা এবং কোভিড মোকাবিলায় ৯ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি প্রধানত- বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ, সুশাসন, ফাইন্যান্স ও প্রাইভেট সেক্টরকে প্রাধান্য দেয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *