এবার ইউনাইটেডকেও হারাল লিভারপুল
প্রথমার্ধে লিভারপুলের দাপুটে ফুটবলের পর দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভালোই লড়াই করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শেষ দিকে একচেটিয়া আক্রমণও করে গেল তারা। কিন্তু জালের দেখা মিলল না। উল্টো ভার্জিল ফন ডাইকের শুরুর গোলের পর শেষ দিকে হজম করল আরেকটি। দারুণ জয়ে লিগ শিরোপার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
গত অক্টোবরে লিগে প্রথম দেখায় ইউনাইটেডের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল লিভারপুল। আসরে এখন পর্যন্ত ওই একবারই পয়েন্ট হারিয়েছে দারুণ ছন্দে ছুটে চলা ক্লপের দল।
প্রথমার্ধে অধিকাংশ সময় বল দখলে রাখার পাশাপাশি আক্রমণে আধিপত্য করা স্বাগতিকরা চতুর্দশ মিনিটে এগিয়ে যায়। ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের কর্নারে দারুণ হেডে গোলটি করেন ফন ডাইক।
২৬তম মিনিটে জালে বল পাঠান রবের্তো ফিরমিনো, তবে ব্যবধান বাড়েনি। আগমূহূর্তে ফন ডাইক ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়াকে বল ধরতে বাধা দেওয়ায় ভিএআরের সাহায্যে ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে কিছুটা ভাগ্যের জোরে দ্বিতীয় গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় ইউনাইটেড। জর্ডান হেন্ডারসনের শট দে হেয়ার আঙুল ছুঁয়ে পোস্টে লাগে।
৫৮তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করেছিল ‘রেড ডেভিলস’ নামে পরিচিত দলটি। কিন্তু সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সে ঢুকে অঁতনি মার্শিয়ালের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
শেষ ১০ মিনিটে একের পর এক আক্রমণে লিভারপুলের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে ইউনাইটেড। কিন্তু সুযোগ নষ্টের হতাশা মুছতে পারেনি তারা।
তিন মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন সালাহ। গোলরক্ষক আলিসনের উঁচু করে বাড়ানো বল মাঝমাঠে ধরে গতিতে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে হারিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ঠিকানা খুঁজে নেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড। আসরে এটি তার একাদশ গোল।২২ ম্যাচে ২১ জয় ও এক ড্রয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট ৬৪।
দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ২৩ ম্যাচে ৪৮। দিনের আরেক ম্যাচে বার্নলির মাঠে ২-১ গোলে হারা লেস্টার সিটি ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।
চার নম্বরের দল চেলসির পয়েন্ট ৩৯। ৫ পয়েন্ট কম নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে উলে গুনার সুলশারের দল ইউনাইটেড।