এফআর টাওয়ারে চলছে ‘চূড়ান্ত তল্লাশি’
ঢাকার বনানীতে আগুনে পোড়া এফআর টাওয়ারের দায়িত্ব পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে বিভিন্ন ফ্লোরে চূড়ান্ত তল্লাশি চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে চূড়ান্ত তল্লাশি চলছে, প্রত্যেকটি ফ্লোরেই তল্লাশি চালানো হবে।”
তল্লাশি শেষ হতে কত সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে কাজ শেষে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হবে বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ২২ তলা ওই ভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে আগুন লাগার পর প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার চেষ্টায় তা পুরোপুরি সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর ফ্লোরে ফ্লোরে শুরু হয় তল্লাশি। বেশ কিছু লাশ নামিয়ে আনার পর রাতে উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। সকাল থেকে আবারও শুরু হয় উদ্ধারকর্মীদের তল্লাশি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করীম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হলেও পুলিশের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৫।
শুক্রবার সকালে গুলশান জোনের উপ-কমিশনার মোশতাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ২৫ জনকে সনাক্ত করেছি। একটি লাশ ঢাকা মেডিকেলে আছে, সেটিও সনাক্ত করা হয়েছে।”ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের প্রত্যেকটি ফ্লোরের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ২১টি টিম করা হয়েছে জানিয়ে উপ-কমিশনার বলেন, একজন সাব-ইন্সপেক্ট, একজন এএসআই, দুইজন কন্সটেবলসহ তারা সেখানে থাকবেন। সিনিয়র অফিসাররাও থাকবেন।
কীভাবে ওই ভবনে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই জানিয়ে মোশতাক বলেন, “আমাদের কন্ট্রোল রুম থেকে তথ্য নিন, সময় সময় তথ্য দেওয়া হবে।”
বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহগুলো হস্তান্তরের পর নিখোঁজের দাবি নিয়ে নতুন কেউ আসেননি জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “যারা নিখোঁজের দাবি করেছিলেন আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।”
অগ্নিকাণ্ডের পর বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, শুক্রবার সকালে সড়কের এক পাশ আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।
অন্য অংশটি খুলে দেওয়ার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আলোচনা করা হবে জানিয়ে মোশতাক বলেন, “সবার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে যেন কেউ আহত না হন।”
এফআর টাওয়ারের সামনে শুক্রবারও উৎসুক জনতার ভিড় রয়েছে। ওই ভবনের যারা কাজ করতের তাদের অনেকেই সেখানে আসছেন।
ডার্ড গ্রুপের ইলেকট্রিক সুপারভাইজার কুতুব উদ্দিন আগুন লাগার পর ভবন থেকে বের হতে পেরেছিলেন। শুক্রবার সকালে ভবনের সামনে এসে অন্যদের খোঁজ নিচ্ছিলেন তিনি। তাদের প্রতিষ্ঠানে ৩-৪ জন এখনও নিখোঁজ বলে জানিয়েছেন কুতুব।