December 22, 2024
আন্তর্জাতিক

এপ্রিলেই করোনার ভ্যাকসিন আনছে চীন

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

চীন বলছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। ক্লিনিক্যাল এবং জরুরি গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য আগামী মাসেই (এপ্রিল) কিছু ভ্যাকসিন চলে আসবে।

গতকাল শুক্রবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ঝেং ঝংওয়েই বলেছেন, ভ্যাকসিনের পাঁচটি ধরন নিয়ে গবেষণা চলছে এবং ধীরে ধীরে তা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে চীন এখনও এই নতুন করোনাভাইরাসের ব্যাপারে অনেক কিছুই জানতে পারেনি। এছাড়া ভ্যাকসিনের গবেষণার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চীনা এই কর্মকর্তা।

করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র হুবেই প্রদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তা ডিং জিয়াংইয়াং বলেন, আগামী মাসে কিছু ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আবেদন করা হবে।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শিনঝেন প্রদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণের পর দেশটির বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বয়স্কদের মতো শিশুরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে করোনাবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে গড়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু পরিবারের কোনও সদস্য আক্রান্ত হলে তা অন্যদের শরীরে গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।

একই গবেষণায় বলা হয়েছে, ১০ বছরের নিচের শিশুদের গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সংক্রমণের সঙ্গে বয়সের গুরুত্বপূর্ণ কোনও সম্পর্ক নেই। শেনঝেন প্রদেশে এক হাজার ২৮৬ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন রোগীর সংস্পর্শে আসার পর। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংক্রমণের ঘটনা ঘটে।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের বিস্তারের ঘটনায় বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে মহামারির শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

চীনে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ৪২ জন, সংক্রমিত হয়েছেন ৮০ হাজার ৫৫২ জন। চীনের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১৭ হাজার ৮৮১ জন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ইতালিতে। দেশটিতে করোনা সংক্রমিত হয়ে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৮ জন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *