এনআইডি জালিয়াতি: চট্টগ্রামে ইসির ৪ অস্থায়ী কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
এনআইডি জালিয়াতি করে রোহিঙ্গাদের ভোটার করার ঘটনায় চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন অফিসের চার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। গতকাল রবিবার সকালে বন্দরনগরীর লাভ লেইনে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ওই চারজনকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে চট্টগ্রাম কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ জানান।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসেইন খান বলেন, ওই চারজন জেলা নির্বাচন অফিসে অস্থায়ী নিয়োগে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। এক রোহিঙ্গা নারী স¤প্রতি ভুয়া এনআইডি সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট নিতে গিয়ে ধরা পড়ার পর জালিয়াত চক্রের খোঁজে নামে নির্বাচন কমিশন। রোহিঙ্গা সন্দেহে অর্ধশত এনআইডি বিতরণ আটকে দেয় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৭-২০০৮ সালে ব্যবহৃত কিছু অকেজো ল্যাপটপ নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় আরও অন্তত পাঁচটি ল্যাপটপ হারিয়ে যায়। যার দুটি জালিয়াত চক্রের হাতে পড়ে বলে তদন্ত দলের সন্দেহ।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে দুই দালালকে আটক করার পর তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে গ্রপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে সেই ল্যাপটপ দুটির একটি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ল্যাপটপসহ মোস্তফা ফারুক নামে এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতার করা হয় যিনি বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অধীনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে কাজ করেছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. শহিদুলাহ বলেন, জয়নালের দেওয়া জবানবন্দিতে বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে। যাদের নাম এসেছে তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করব। যাচাই বাছাই করে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হবে।