এখনো তরুণদের হারিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আছে ‘বুড়ো’ ধোনির
মেন্টর হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতের ড্রেসিংরুমে থাকাকে আশীর্বাদ মানছেন দলটির ওপেনার কেএল রাহুল। তার মতে, বিশ্বকাপে চাপের মুহূর্তে ধোনির উপস্থিতি তাদের শান্ত থাকার প্রধান হাতিয়ার হবে।
বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ধোনি বিখ্যাত ছিলেন তার ঠাণ্ডা মাথার নেতৃত্বের কারণে। চাপের মুহূর্তে শান্ত থেকে অনেকবার নিজের ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে ধোনি ম্যাচ বের করে আনতেন। এবারের বিশ্বকাপে তার সেই গুণ কাজে লাগাতে মরিয়া ভারতীয় দল।
পরামর্শক হিসেবে ধোনি কাজ শুরু করে দিয়েছেন দিন তিনেক হলো। এরই মধ্যে দলটির সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বেশ উৎফুল্ল দলের ক্রিকেটাররা। রাহুল যেমন বলছিলেন, ‘প্রথম দুই-তিনদিনেই তার সঙ্গে সময় কাটানোটা আমি বেশ উপভোগ করছি। এখন তার ক্রিকেট, নেতৃত্ব এবং ক্রিকেট সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় কাজে লাগানোর অপেক্ষায় আছি।’
অধিনায়ক ধোনিতেও যেন মন্ত্রমুগ্ধ রাহুল। তার নেতৃত্বে রাহুলও জাতীয় দলে খেলছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ডানহাতি এই ব্যাটার বলেছেন, ‘সে যখন অধিনায়ক ছিল, ড্রেসিংরুমে তার উপস্থিতি আমরা খুব পছন্দ করতাম। আমরা তার শান্তশিষ্ট মনোভাব ভালোবাসতাম। আমরা সবাই, কোনো সমস্যায় পড়লেই উত্তরণের জন্য তার কাছে যেতাম। আসলে সে অসাধারণ।’
গত বছরের ১৫ আগস্ট ভারতীয় জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ধোনি। বয়স ৪০ হয়ে গেলেও রাহুলের মতে, এখনো ভারত দলের যে কোন তরুণ ক্রিকেটারকে মুখোমুখি লড়াইয়ে হারিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আছে ধোনির। রাহুল বলেন, ‘আমার মতে সে এখনো আমাদের যে কাউকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে। অবশ্যই এখনো বড় বড় ছক্কা হাঁকানোর সামর্থ্য তার আছে।’
সঙ্গে এই তারকা ক্রিকেটার যোগ করেন, ‘সে খুব শক্তিশালী, উইকেটের মধ্যে (রানিং বিটুইন দ্য উইকেটস) দৌড়েও সে অনেক ভালো। তাকে ফিট লাগছে। মোদ্দা কথা, তাকে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগছে।’
রাহুল নিজেও সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে দারুণ খেলেছেন। ওপেনিংয়ে নেমে রান ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন। দল রাউন্ড রবিন লিগ থেকে বাদ পড়লেও রাহুল ফাইনাল ম্যাচের আগ পর্যন্ত ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৬২৬)। বিশ্বকাপে ভারতের হয়েও রোহিত শর্মার সঙ্গে তাই ইনিংস ওপেন করতে দেখা যাবে তাকে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রাহুল নিজেও পারফরম করে দেখাতে মরিয়া। আইপিএলের শেষভাগ সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ায় প্রস্তুতিটাও তো দারুণ হয়েছে তার। রাহুল বলেন, ‘খেলার মধ্যে থাকায় আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। আইপিএলের ছয়-সাত ম্যাচ, এই কন্ডিশনের সঙ্গে আমাকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে অনেক। গেলবারও এখানে আইপিএল খেলে যাওয়ায় আমি জানতাম, এখানে কী ধরনের শট খেলতে হবে।’
বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে। সুপার টুয়েলভের ম্যাচে আগামী ২৪ অক্টোবর মাঠে নামবে এই দুই দল।