এক মেজরকে বাধ্যতামূলক অবসর
শৃঙ্খলাজনিত অপরাধের কারণে সেনাবাহিনীর এক মেজরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার
মেজর মো. হাসিব উল আলমকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে গত ২৫ মার্চ আদেশ জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ আর্মি অ্যাক্ট সেকশন-১৮, আর্মি অ্যাক্ট (রুলস) ১২(১), আর্মি রেগুলেশন্স (রুলস) ৭৮(সি), ২৫৩সি(ii), ২৬১, সংশোধিত আর্মি রেগুলেশন্স (রুলস) ২৬২(৪), আর্মি রেগুলেশন্স (ইনস্ট্রাকশন্স) ১৬৮(বি) এবং কনপেনডিয়াম অব মিলিটারি পেনশন ১৯৮১-এর রুল ৯(কে) অনুযায়ী তাকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর দেওয়া হয়েছে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
কেন এই সেনা কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, সেই প্রশ্নে প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাজনিত কারণেই কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
বুধবার অফিসে না থাকায় মেজর হাসিবকে অবসরে পাঠানোর প্রকৃত কারণটা জানাতে পারছেন না জানিয়ে প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, “শৃঙ্খলাজনিত কোনো অপরাধের পর প্রোপোজাল আসলে সেই অনুযায়ী আমরা আদেশ জারি করি।
“যে যে বাহিনীতে কর্মরত সে বাহিনী থেকে সুপারিশ আসে। শৃঙ্খলাজনিত অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে সুপারিশ করা হয়।”
মেজর হাসিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশে সই করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওয়াহিদা সুলতানা।
কোডিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বুধবার তিনিও অফিসে না থাকায় ফাইল না দেখে প্রকৃত কারণটা জানাতে পারেননি। তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “অপরাধজনিত কারণেই বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।”
২৫ এপ্রিল আলাদা আদেশে মেজর মোসা. রীনা আক্তারীকে শারীরিক অসমর্থতার কারণে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রচলিত বিধি অনুসারে অবসর সংক্রান্ত প্রাপ্য আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আরেক আদেশে মেজর মো. জাফরুল হকের চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম না করলেও চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় স্বাভাবিক অবসর দিয়ে আদেশ জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনিও প্রচলিত বিধি অনুযায়ী অবসর সংক্রান্ত প্রাপ্য আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সবিধা পাবেন বলে আদেশে বলা হয়েছে।
এছাড়া আর্মি রেগুলেশন্স (রুলস) ২৪৪ এবং আর্মি রেগুলেশন্স (ইনস্ট্রাকশন্স) ১৬৭ অনুযায়ী সেনাবাহিনীর মেজর মো. নাজমুল আলমের চাকরি জনস্বার্থে গত ৪ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল আরেকটি আদেশে জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।