একুশ আমার অহংকার
দ: প্রতিবেদক
আজ ৫ই ফেব্র“য়ারি। মহান ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্র“য়ারির ৫ম দিন। ১৯৪৮ সালের ১৬ই মার্চ প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন বসে। উক্ত অধিবেশনে ভাষার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়। ফলে ছাত্ররা নতুন করে আন্দোলন শুরু করে। চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য নাজিম উদ্দিন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তা জানার জন্য ছাত্ররা ১৭ই মার্চ প্রাদেশিক পরিষদের সভকক্ষের দিকে মিছিল সহকারে অগ্রসর হলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও বন্দুকের ফাঁকা গুলি করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছাত্রদের এ আন্দোলনে নাজিম উদ্দীন ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে। তিনি গর্ভনর জেনারেল প্রথম ও শেষবারের মত ১৯ মার্চ পূর্ববাংলা সফরে আসেন। কিন্তু ভাষার প্রশ্নে তিনি স্বৈরাচারী মনোভাব দেখান। ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি দৃঢ় স্বরে ঘোষণা করেন যে, পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হবে উর্দু অন্য কোনো ভাষা নয়। জিন্নাহর এ ঘোষণায় সভায় কোনো কোনো অংশ হতে মৃদু নো নো, ধ্বনি উচ্চারিত হয়। এরপর ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন- বাঙালীরা তাদের প্রদেশের সরকারি ভাষারূপে যে কোনো ভাষা নির্বাচিত করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হবে অবশ্যই উর্দু।
জিন্নাহর এ উক্তির তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করে উপস্থিত গ্রাজুয়েটবৃন্দ না না ধ্বনি উচ্চারণ করেন। জিন্নাহর এ অবিবেচক ও স্বৈরাচারী মনোভাব পূর্ববাংলার বুদ্ধিজীবী মহলে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি করে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি পূর্ববাংলার মানুষের মনে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের ভাব সৃষ্টি হয়। ভাষা আন্দোলন ক্রমেই রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে।- (তথ্যসূত্র: উর্দু এ্যান্ড উর্দু শ্যাল বি দ্য অনলি স্টেট্স ল্যাঙ্গুয়েজ অব পাকিস্তান)।