একুশে বইমেলায় বাসন্তী জোয়ার
দ: প্রতিবেদক
গতকাল বুধবার ছিল একুশে বইমেলা, খুলনা’র ১৩ম দিন। পহেলা ফাল্গুন বসন্তের ১ম দিনে বইমেলা ছিল দর্শক শ্রোতায় কানায় কানায় পূর্ণ। সকাল থেকেই বাসন্তী রঙের পোশাক পরিহিত তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল বইমেলা প্রাঙ্গণ। বইমেলার মঞ্চে সাংস্কৃতিক আয়োজন ছিল জমজমাট। সকালে বইমেলার মঞ্চে সাহিত্য সংসদের আয়োজনে বসন্ত বরণ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বিকালে বইলোর মঞ্চে ৩টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়। কবি দেবতোষ কুমার রায় এর কাব্যগ্রন্থ ‘ ভৈরবী লোনা জলে ’ এবং কবি ও সাংবাদিক মোঃ আবু আসলাম বাবু রচিত এবং প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ ‘দীপালোক’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এবং উপস্থিত ছিলেন এডিসি (ডিবি), কেএমপি মোঃ কামরুল ইসলাম।
পরবর্তীতে জেলা শিল্পকলা একাডেমী, খুলনার বসন্ত বরণ উৎসব ২০১৯ এবং খুলনা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা(খুসাস) কর্তৃক প্রকাশিত কবি ও লেখক আব্দুস সালাম তরফদার রচিত ‘কৈশোরের ঘড়ি ’ শীর্ষক গল্পগুচ্ছ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান এবং বাংলাদেশ বেতার, খুলনার উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ রোকনুজ্জামান এবং খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক ড. মোঃ আহছান উল্যাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলার জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল হোসেন।
প্রচুর দর্শক শ্রোতা জেলা শিল্পকলা একাডেমীর বসন্ত বরণের সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করে। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন রাকিবা খান লুবা এবং দলীয় নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন মুনিয়া আলম ও ডলি রহমান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমী, খুলনার প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ এবং খুলনা জেলা বিশিষ্ট শিল্পীরা সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। সার্বিক অনুষ্ঠান তত্ত¡াবধানে ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার সুজিত কুমার সাহা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উম্মে কুলসুম পলি, অধ্যাপক শেখ আজিজুল ইসলাম টিপু এবং আনিসুর রহমান। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শক বইমেলার সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করে।