একাদশ ভর্তিতে ২৮ ঘণ্টায় ৫ লাখ আবেদন
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ২৮ ঘণ্টায় সারাদেশে প্রায় পাঁচ লাখের মতো আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাঁচটি করে কলেজ নির্বাচন করেছে বলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড থেকে জানা গেছে।
রোববার থেকে কলেজ-মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণিতে এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একাদশ শ্রেণিতে রোববার সকাল ৭টা থেকে সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র ২৮ ঘন্টায় রেকর্ডসংখ্যক চার লাখ ৭০ হাজার আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল রোববার একদিনে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬০৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
একই সময়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাত্র ২০ হাজার আবেদন পড়েছে। কারিগরিতে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারণা কম থাকায় আবেদনকারীদের তেমন সাড়া মেলেনি বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ ও কারিগরিতে ভর্তির জন্য মোট আবেদনের মধ্যে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন আবেদনের সময় তাদের পছন্দের পাঁচটি কলেজ নির্বাচন করেছে। বাকিরা পাঁচের অধিক কলেজ নির্বাচন করেছে বলে জানা গেছে।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী। অনলাইনে আবেদনে বিভিন্ন ঝক্কির অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বলেছেন, আবেদন ফরম পূরণের পর তা সাবমিটে বিলম্ব হয়েছে। বিশেষ করে ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গতকাল সকালে অনলাইনে আবেদন জমা দিতে কিছুটা সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিয়ে টাকা জমা দিতেও একই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পরে অবশ্য সেই সমস্যা কেটে যায়। প্রথম ১২ ঘণ্টাতে ঢাকা বোর্ডে আবেদন জমা পড়ে এক লাখ ৩ হাজার ৮০৪টি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ জাগো নিউজ বলেন, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দিনে বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। প্রথম ধাপে ৯ থেকে ২০ আগস্ট প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আবেদন সম্পন্ন করবে।
তিনি বলেন, এবার আমাদের পেমেন্ট অপারেটর বাড়িয়ে সাতটি করা হয়েছে। এতে সহজেই আবেদন ফি জমা দিতে পারছে শিক্ষার্থীরা। একসঙ্গে অনেকে আবেদন করায় সাবমিটে সমস্যা হলেও পরে তা ঠিক হয়ে গেছে। কেউ অন্য কোনো সমস্যায় পড়লে তা সংশোধন বা পরামর্শ দিতে হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভর্তির ওয়েবসাইট থেকে ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের।
কারিগরি বোর্ড সূত্র জানায়, কারিগরিতে ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের অনীহা আছে। তাদের আগ্রহী করতে নানা ধরনের প্রচারণার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এজন্য বাজেট বরাদ্দ আছে। কিন্তু প্রচার এখনও শুরু করতে পারেনি বোর্ড। দ্রুততম সময়ে প্রচারণা শুরু করতে না পারলে শিক্ষার্থী গত বছরের চেয়েও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সাধারণ কলেজে ভর্তির জন্য www.xiclassadmission.gov.bd এবং কারিগরিতে ভর্তির জন্য www.btebadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। সাধারণ কলেজে প্রথম পর্যায়ে ২০ আগস্ট পর্যন্ত, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ চলবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। অনলাইনে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।