একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের দাবি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের দাবি এসেছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে। গতকাল শনিবার সকালে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এর মহাসচিব হারুন হাবীব এই দাবি জানান। তিনি বলেন, গণহত্যার জাতীয় স্বীকৃতি এসেছে। এখন জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ের দাবি জানাচ্ছি।
বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা।
পাকিস্তানি বাহিনীর সেই নৃশংসতার পর রুখে দাঁড়িয়েছিল বাঙালি, স্বাধীনতার জন্য শুরু হয়েছিল সশস্ত্র সংগ্রাম। নয় মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এসেছিল স্বাধীনতা।
২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালনের দাবি রয়েছে বাংলাদেশের, কিন্তু সেই স্বীকৃতি আজও মেলেনি।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা কাদের মোলাকে দৈনিক সংগ্রাম ‘শহীদ’ লিখে যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে, তা ক্ষমা করা যায় না বলে মন্তব্য করেন হারুন হাবীব।
এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, মৌলবাদী একটি দলের পত্রিকা কাদের মোলাকে শহীদ বলে ঘোষণা করেছে। এই যে ঔদ্ধত্য বাংলাদেশে আইন আছে। আমরা যারা একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা তারা এ ঔদ্ধত্য সহ্য করতে পারি না।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ‘মিরপুরের কসাই’খ্যাত কাদের মোলার ফাঁসি কার্যকর করা হয় ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর।
সেই দিনের স্মরণে গত বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক সংগ্রাম প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল ‘শহীদ আবদুল কাদের মোলার ৬ষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকী আজ’’।
হারুন হাবীব বলেন, একটা বড় ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে স্পষ্ট হচ্ছে। ৪৮ বছরে যখন আমরা বিজয় উদযাপন করতে যাচ্ছি। কিন্তু সেইসব চিহ্নিত শত্র“রা, একাত্তরের ঘাতকেরা আজও তৎপর। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।