একদিনে বুস্টার ডোজের আওতায় ৮ লাখের বেশি মানুষ
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলামান টিকা কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত মোট ছয় কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৯৫৬ জন মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ জন বুস্টার ডোজের আওতায় এসেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ৬৫ হাজার ৩১৮ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৮১ হাজার ৪১৭ জনকে এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে আট লাখ ৩৭ হাজার ১০০ জনকে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা কার্যক্রমের শুরুর পর এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১৪ কোটি ৮৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৯ জন। দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৩৬ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৯৫৬ জন।
দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে এক কোটি ৬১ লাখ ৭২ হাজার ৩৫২ জন। গত একদিনে দুই হাজার ২৯৬ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে তিন হাজার ৯০৪ জন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
আর পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮১৬ জনকে করোনা প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ফাইজারের বিশেষ এ টিকার ডোজ পেয়েছে ১৩ হাজার ৪৭৪ শিশু। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৭০ জনকে।
এদিকে দেশে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ১২২ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। আর ১৪ হাজার ৪৮৯ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।