September 8, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

একদিকে উচ্ছেদ, অন্যদিকে দখল ‘ময়ূর নদের পাড় দখল করে আবারও স্থাপনা’

জয়নাল ফরাজী

খুলনার ময়ূর নদসহ ২৬টি নদী-খাল দখলমুক্ত করতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ও জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ৭ দিনে দৃষ্টিনন্দন-বহুতল ভবনসহ অনেক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে একদিকে যেমন চলছে উচ্ছেদ অভিযান, অন্যদিকে নদী ও খালের পাড় দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। যেখানে বছরের শুরুতেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিলো।

সূত্র জানায়, মহানগরীসহ আশপাশের খাল ও নদীতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে দুই পাড় দখল করা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় সড়ক, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে পানি জমে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক। এ কারণে ময়ূর নদ ও ২৬টি খাল দখলমুক্ত করতে গত ০১ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্র“য়ারি মাসে একবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিলো খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন। ৫ ফেব্র“য়ারি সরেজমিনে গল­ামারি ব্রিজ সংলগ্ন ময়ূর নদের পাড় পরিদর্শন করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। পরের দিন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের উপস্থিতিতে গল­ামারি ব্রিজের কাছে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মার্কেট, স্থাপনা ও নদীর মধ্যে থাকা লিনিয়ার পার্কের একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও নদীর পাড় দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্থাপনা। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনসাধারণ।

স্থানীয়রা জানান, খুলনার নদী ও খালের অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত আছে। যে স্থান থেকে একবার স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে, সে স্থান আবারও দখল করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নগরবাসী খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কেসিসি’র এস্টেট অফিসার মো. নূরুজ্জামান তালুকদার জানান, বর্তমানে নিরালা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলছে। শীঘ্রই গল­ামারি এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তিনি জানান, যতক্ষণ নদী ও খালে এসব অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার থাকবে, ততক্ষণ উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

উলে­খ্য, মহানগরীর নদী ও খাল দখল করে স্থ্পানা নির্মাণের ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। সিটি মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে ময়ূর নদ ও ২৬টি খালে যৌথ জরিপ চালায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সরকারের চারটি সংস্থা। ইতোমধ্যে সেখানে ৪৬০ জন দখলদারের তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকা ধরেই গত ০১ সেপ্টেম্বর থেকে নগরীতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *