একজন কমিশনারকে তথ্য দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাধ্য নন : ইসি সচিব
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের অভিযোগের জবাবে তাকে ‘নিয়ম’ দেখিয়েছেন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলছেন, কোনো একজন নির্বাচন কমিশনারের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য দিতে বাধ্য নন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তিনি তথ্য পাঠাবেন পাঁচজন কমিশনারকে। গতকাল রবিবার বিকালে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন নিয়মের কথা শোনান ইসি সচিব।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে মাহবুব তালুকদার নিজের কার্যালয়ে একটি লিখিত বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন। সেখানে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনেই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই। কমিশনে তার কথা বলার জায়গাও ‘সঙ্কুচিত’ হয়ে পড়ছে।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি তিনি ইউও নোটের মাধ্যমে ঢাকা সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দুই রিটার্নিং অফিসারের কাছে তথ্য চেয়েছিলেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারির মধ্যে আমার কাছে পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার সেই নির্দেশ উপেক্ষিত হয়েছে। কোনো তথ্যই আমাকে সরবরাহ করা হয়নি।
তার ওই অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে কমিশন সচিব আলমগীর বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা তথ্য দিতে বাধ্য। তবে তারা কমিশনকে জানাবে। যেহেতু কমিশনের বিষয়, সেহেতু সিইসির কাছে আগে তথ্য জানাতে হবে। তবে সরাসরি কাউকে উত্তর দিতে পারবেন না। তিনি একজন কমিশনারের কাছে তথ্য দিতে বাধ্য না। দিলে পাঁচজনের কাছে দিতে হবে।
রবিবার ঢাকার টিকাটুলিতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারের সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান আলমগীর।
গত সপ্তাহে ঢাকা উত্তরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার ঘটনায় ইসির তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন বলেছে দুই গ্রæপ পুলিশকে না জানিয়ে সেখানে গিয়েছে। দুই গ্রæপ মুখোমুখি হওয়ায় ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, তাদের জানালে এমনটা হতে না। আমি বলেছি কমিশনকে দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য।