এই সময়ে নিরাপদে বাজার করতে
লকডাউন থাকার পরেও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাইরে যেতে হয়, বিশেষত বাজার করতে। এই সময় যতটা সম্ভব সাবধান থাকা জরুরী।
জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বাজারে গেলে যে সকল বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত সে সম্পর্কে জানানো হল।
বাইরে থাকার সময় কমান: যতটা সম্ভব কম বাইরে যান এবং কম সময় থাকুন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিছুটা সংরক্ষণে রাখুন। আর যদি দোকানে যেতেই হয় তাহলে অপেক্ষাকৃত কম ভিড় হয় এমন সময় বেছে নিন। যত কম সংখ্যক লোকের সঙ্গে দেখা হবে তত সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কম।
হাত ধোয়া: বাজারে যে কোনো কিছু স্পর্শ করার আগে যে কার্টে বাজার নেওয়া হবে তা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। বাজার শেষে বাসায় ফিরে হাত ধুতে ভুলবেন না। এছাড়াও মোবাইল ব্যবহারের আগে তা জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে নিন। হাতে হাত মোজা পরে বের হলেও সাবধান থাকতে হবে যেন হাত কোনভাবেই মুখের সংস্পর্শে না আসে।
প্যাকেটজাত খাবার স্যানিটাইজ না করলেও হয়: ভাইরাস জড় পদার্থের ওপর কয়েক ঘন্টা বাঁচে। তাছাড়া প্যাকেটের ওপর থাকা ভাইরাসের সংখ্যা কমই হয়। খাবারের প্যাকেট পরিষ্কার না করে বরং তা ধরার পরে হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। আর কোনো পণ্য কেনার আগে বার বার না ধরে যেটা প্রয়োজন শুধু সেটাই নিয়ে কার্টে রাখুন।
এখন পর্যন্ত খাবারের প্যাকেটের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্যাকেট পরিষ্কারের ক্ষেত্রে পানি ব্যবহার করতে পারেন।
সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে আবদ্ধ থাকুন: সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে বাইরে যাবেন না এমনকি দোকানেও না। কারণ এতে সংক্রমণ চারপাশে অন্যান্য মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই এমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই নিজে আবদ্ধ অবস্থায় থাকুন।
বয়স ষাটোর্ধ হলে ঘরে বসেই বাজারের ব্যবস্থা করুন: করোনাভাইরাস বয়স্কদের জন্য বেশি ক্ষতিকর। তাই বেশি সাবধান হওয়া প্রয়োজন। বয়স্ক ব্যক্তিদের বাইরে বাজার করতে না যাওয়াই ভালো। বরং ঘরে বাজার পৌঁছে দেয় এমন কোনো সেবা গ্রহণ করা উচিত। যে বাজার দিয়ে যাচ্ছে তার কাছ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত অবস্থায় বাজার গ্রহণ করতে হবে এবং তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।