এই শীতে ঘুরে আসুন সাজেক।
এই মৃদু শীতে ঘুরে আসতে পারেন সাজেক থেকে । চারিদিকে পাহাড়ের উপর পাহাড় আর তার মাঝখানে হালকা মেঘের ভেলা আপনাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে কোন এক অজানার উদ্দেশ্যে । হ্যাঁ সাজেক ভ্যালিতে গেলে এমনই মোহনীয় অবস্থার মধ্যে পড়ে যেতে পারেন আপনি।
চারিদিকে সবুজের সমরোহ যেন আর এই শীতেই আপনি ঘুরে আসতে পারেন আপনার বন্ধু বা আপনার ফ্যামিলি বা আপনার অফিস কলিগদের সাথে।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে কলাবাগান বাস স্ট্যান্ড থেকে শান্তি পরিবহনের বাসে চড়ে পড়ুন দীঘিনালা বা খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে। দীঘিনালা নামাটাই সবার জন্য শ্রেয় হয়। সেখান থেকে চান্দের গাড়ি ঠিক করে নিন অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন।দীঘিনালা পৌছে সকালের নাস্তা করে চান্দের গাড়িতে চড়ে প্রথমে চলে যাবেন হাজাছড়া ঝর্ণায় সেখানে ঝর্ণার পানিতে গোসল করে দশটার আর্মি এসকর্টে চান্দের গাড়ি করে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিন। দুপুরে লাঞ্চ করার পরে বিশ্রাম নিয়ে হেলিপ্যাডে যে দেখুন সূর্যাস্ত রাতের ডিনারটা অবশ্যই সাজেক বিখ্যাত ব্যাম্বু চিকেন /বার্বি কিউ দিয়ে ডিনার করতে পারেন।
এর পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সূর্যোদয় দেখে চলে যান কংলাক পাড়া সেখানের পাহাড়ি জনজীবন ও পাহাড় উপভোগ করে আবার চলে আসুন রুইলুই পারা তে এবং নাস্তা করে আবার দশটার স্কট এ চলে আসুন খাগড়াছড়ি।এখানে আপনি আরো বেশ কয়েকটি জিনিস দেখতে পারবেন খাগড়াছড়ি এসে আপনি আলুটিলা গুহা ,ঝুলন্ত ব্রিজ ,রিসাং ঝর্ণা ও তেরাং মেঘ ভিউএই চারটি স্পটে ঘুরতে পারেন ।
সব ঘোরাঘুরি শেষ হলে আবার রাতের বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন।
ঘোরার জায়গা গুলো
- সাজেক জিরো পয়েন্ট
- বাগাইছারি-মাসালং
- লুসাই পাহাড়
- রকগার্ডেন
- সাজেক ভ্যালী রোড
- রুনাময় গেস্ট হাউস
- সাজেক ভ্যালী রিসোর্ট
- কানলাক পাহাড় ও পাড়া
- রুইলুই পাড়া
- সিপ্পু পাহাড় থেকে সাজেক এর প্রকৃতি অবলোকন
খরচ
সাধারনত ট্রাভেল গ্রুপ বা বন্ধু-পরিবার নিয়ে গেলে খরচ অনেক কমানো যায়। যেমন ৪-৫ জন মিলে গেলে ৬০০০-৭০০০ লাগতে পারে আবার ৮-১০ হলে খরচ কমে আসে ৩০০০-৪০০০ এ। কিন্তু যাই বলুন, দল ছাড়া এই জায়গায় যেয়ে মজা নাই, খরচের ব্যাপার পরে।
সময় হাতে থাকলে ঘুরে আসুন বাংলার এই অপরূপ সুন্দর জায়গাটি থেকে। হয়তোবা কয়েকদিন পড়ে গেলে দেখা গেল লোকজনদের ভীরে উপভোগ করার জায়গা নাও পেতে পারেন !