এইচএসসির বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে লিগ্যাল নোটিশ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
জেএসসি ও এসএসসির ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাভারের মোফাজ্জল মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী শতাব্দী রায়ের পক্ষে ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং নয়টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফল প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফল প্রস্তত করলে নোটিশদাতাসহ আরো অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করা থেকে থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই করোনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা না নেওয়া গেলে নিজ নিজ কলেজের নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হোক।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, শতাব্দী রায় জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে অসুস্থতার কারণে পূর্ণ প্রস্তুতি না নিতে পারায় জিপিএ ৪.২২ পেয়েছেন। জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় প্রস্তুত করলে তিনি প্রত্যাশিত ফল পাবেন না। ফলে তিনি হতাশায় ভুগছেন। উক্ত শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করায় কলেজের প্রি-টেস্ট এবং টেস্ট উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ অবস্থায় জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় করলে তার এইচএসসিতে ভালো ফল করার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হবে এবং তাকে তা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় করার কারণে একদিকে যেমন অনিয়মিত, একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য, প্রস্তুতিহীন শিক্ষার্থীর জন্য সুযোগ তৈরি হবে, তেমনিভাবে কোনো কারণে জেএসসি কিংবা এসএসসি তে কম জিপিএ পাওয়া মেধাবী, পরিশ্রমী শিক্ষার্থীগণ তাদের প্রচেষ্টা প্রমাণে ব্যর্থ হবে। আগের ফলের গড় করে পরবর্তী পরীক্ষার ফল নির্ধারণ বেআইনি, যা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ আইনত করতে পারেন না।
তাই করোনার কারণে যদি পরীক্ষা একেবারেই গ্রহণ না করা যায়, সে ক্ষেত্রে টেস্ট পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রস্তুতের দাবি জানানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে উল্লিখিত দাবি মানা না হলে শিক্ষার মৌলিক অধিকার আদায়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ